পাকিস্তানের আমীর আলহাজ হযরত মাওলানা আব্দুল ওয়াহাব সাহেব কর্তৃক বয়ান থেকে সংগৃহীত আমল সমূহ
১। যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় কোরআন শরীফের শেষ তিন সূরা তিন বার তেলাওয়াত করবে, আল্লাহ তাকে জমিন, আসমান, মানুষ ও জিন এর ক্ষতি থেকে হেফাজত করবেন।
২। যে ব্যক্তি সকাল সন্ধ্যার পূর্বে এবং পরে তিনবার দূরুদ শরীফ পড়ে মাঝখানে সূরা ফাতিহা এবং নিম্নোক্ত দরুদ শরীফ পাঠ করবে আল্লাহ তাকে ব্যথা-বেদনা ও সমস্ত রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি দান করবেন।
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَٓى اٰلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ بِعَدَدِ كُلِّ دَٓاءٍ وَدَوَٓاءٍ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ عَلَيْهِ وَعَلَيْهِمْ تَسْل۪يمًا كَث۪يرًا كَث۪يرًا كَث۪يرًا.
৩। যে ব্যক্তির দৈনিক জোহরের পর 100 বার নিম্নোক্ত দুরুদ শরীফ পাঠ করবে, কখনো সে ঋণী হবে না এবং গায়েবি খাজানা থেকে আল্লাহ তার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করে দিবেন আর তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দিবেন।
اللَّهُمَّ صَلِّ علَى مُحَمَّدٍ، وعلَى آلِه وَبَارِكْ وَسَلِّمْ
৪। ফজরের পর যে ব্যক্তি “ইয়া মালিকু-ইয়া কুদ্দুছু” 11 বার পড়বে, আল্লাহ তার সতরের ভেতরের অংশের সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি দিবেন।
৫। যে ব্যক্তি দিনে নিম্নোক্ত দুরুদ 100 বার পড়বে আল্লাহ তার মাল বৃদ্ধি করে দিবেন এবং এশার পর 100 বার পড়লে হুযুর (সাঃ) এর জিয়ারত নসিব হবে।
الَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُوْلِكَ وَصَلِ عَلَى الْمُوْمِنِيْنَ وَ الْمُوْمِنَاتِ
৬। যে ব্যক্তি দৈনিক 11 বার নিন্মোক্ত দুরুদ শরীফ পড়বে আল্লাহ তাকে দুনিয়াতেই জান্নাতের ঠিকানা দেখাইয়া দিবেন।
صَلَّ الَله عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدْ
৭। যে ব্যক্তি দৈনিক 40 বার দোয়া ইউনুস পড়িবে আল্লাহ সমস্ত রোগ থেকে তাকে মুক্তি দিবেন। যদি মারা যায় তবে শরীরের মর্তবা পাবে আর যদি সুস্থ থাকে তাহলে সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমীন।
অর্থ : আপনি ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই। আমি আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। অবশ্যই আমি পাপী। -সূরা আল আম্বিয়া : ৮৭
৮। কেউ যদি 41 বার সূরা কাওসার পড়ে খাদ্যদ্রব্যের উপর ফুক দেয় তার রিজিক কখনো শেষ হবে না।
৯। কেউ যদি সূরা কুরাইশ ৪১ বার পড়ে খাদ্যদ্রব্যে ফুক দেয় তবে ঐ খাদ্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।
১০। যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত আয়াত শরীফ 41 বার পাঠ করবে আল্লাহ তাঁর অবাধ্য স্ত্রী-পুত্র-সন্তানদের বাধ্য করে দিবেন।
وَجَعَلْنَا مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لَا يُبْصِرُونَ
১১। যে ব্যক্তি দৈনিক 41 বার আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে আল্লাহ তার ঈমান ও একিনের দুর্বলতা দূর করে দিবেন।
১২। যে ব্যক্তি দৈনিক ফজর নামাজ বাদ নিম্নোক্ত দোয়া 100 বার পড়বে তার রিজিকের অভাব দূর হয়ে যাবে।
لا إلَهَ إلّا اللهُ المَلِكُ الْحَقُّ المُبِيْن
১৩। যে ব্যক্তি ফরজ নামাজের পর তিনবার চতুর্থ কলেমা পড়বে প্রতি রাকাতের পরিবর্তে এক বছরের সওয়াব দান করা হবে।
لااله الا انت نورا يهدى الله لنوره من يشاء محمد رسول الله امام المرسلين خاتم النبين
উচ্চারণঃ- লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা নূরাই ইয়াহ্দি আল্লাহু লিনূরিহি মাই-ইয়াশাউ-মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহি ইমামুল মুরছালিনা খাতামুন্ নাবিয়্যিন।
অর্থঃ- হে আল্লাহ্! তুমি ছাড়া নেই কোন ইলাহ্, তুমি জ্যোতির্ময় আল্লাহ্! তোমার নূর দ্বারা যাকে ইচ্ছা তাকেই সৎপথ প্রদর্শন করেছ। মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর বার্তাবাহক, সমস্ত রাসূলগণের ইমাম বা নেতা, সর্বশেষ নবী।
১৪। যে ব্যক্তি এখলাসের সাথে একবার কালিমা তইবা পাঠ করবে তার পিছনের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে এবং তার আমলনামায় চার হাজার নেকী লেখা হবে।
১৫। যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে তার এবং জান্নাতের মধ্যে মৃত্যুই একমাত্র পর্দা।
১৬। যে ব্যক্তি বাজারে চতুর্থ কালেমা পড়বে 10 লক্ষ নেকি পাবে, 10 লক্ষ গুনাহ মাফ হবে এবং জান্নাতের মধ্যে একটা মহল মিলবে।
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكُ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ حَىٌّ لاَ يَمُوتُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
১৭। যে ব্যক্তি দৈনিক একবার নিম্নোক্ত দোয়া পড়বে 70 ফেরেশতা 1000 দিন পর্যন্ত তার জন্য নেকি লিখবে।
لا إلهَ إلاَّ اللَّه وحْدهُ لاَ شَرِيكَ لهُ، لَهُ جَزَى اللهُ عَنَّا مُحمَّدًا مَا هُوَ أهلُه
১৮। নিম্নোক্ত দোয়া দিনে 1 বার পাঠ করলে 20 লক্ষ নেকি পাওয়া যাবে।
أشهدُ أن لا إلَه إلَّا اللَّهُ وحدَه لا شريكَ لَه إلَها واحدًا صمدًا لم يلدْ ولم يولدْ ولم يَكن لَه كُفُوًا أحدٌ
১৯। যে ব্যক্তি সূরা আনআমের প্রথম তিন আয়াত সকালে অথবা সন্ধ্যায় পড়বেঃ (ক) 40 হাজার ফেরেশতা কেয়ামত পর্যন্ত ইবাদত করবে এবং সে সওয়াব উক্ত ব্যক্তির আমলনামায় লেখা হবে। (খ) আল্লাহপাক একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে দেন যিনি কুমন্ত্রণা দেওয়ার সময় শয়তানের মুখের উপর চাবুক মারবে শয়তান এবং উক্ত ব্যক্তির মধ্যে পর্দা পড়ে যাবে। (গ) কেয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, হে আমার বান্দা আরশের ছায়ার নিচে আসো আমি তোমাকে জান্নাতের ফল খাওয়াব, হাউজে কাউসারের পানি পান করাব এবং সালসাবিলের পানিতে গোসল করাবো।
২০। দৈনিক ফজরের নামাজের পর 10 বার দরুদ শরীফ পড়লে নবী ও সিদ্দিকানদের মতো রুহ বের করা হবে। পুলসিরাত সহজে পার হবে। ফেরেশতারা সেজদায় মাথা রেখে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং হাউজে কাউসারের পানি পান করাবেন।
২১। দৈনিক সকালবেলা 19 বার “বিসমিল্লাহ রহমানির রহিম” পড়লে জাহান্নামের 19 প্রকার আজাব থেকে মুক্তি দেয়া হবে।
২২। যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত দোয়া পড়ে ঘর থেকে বের হবে তা ঐ ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে, শয়তান থেকে দূরে থাকবে, তার হেফাযত হবে এবং তাকে হেদায়েত দেওয়া হবে।
بِسْم اللَّهِ توكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ، وَلا حوْلَ وَلا قُوةَ إلاَّ بِاللَّهِ
২৩। যে ব্যক্তি দৈনিক একটা নির্দিষ্ট সময়ে 50 বার নিন্মোক্ত দরুদ শরীফ পাঠ করবে দিন ও দুনিয়ার কাজে এস্তেকামাত হবে।
اَلّلهُــمَّ صَلِّ عَلَى سَيِدِنَا مُحَمَّد صَلَاةً دَائِمَةً بِدَوَامٍكَ
২৪। যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করবে সমস্ত মুসলমানের সংখ্যা পরিমাণ নেকি পাবে এবং এমন জায়গা থেকে তার রিজিক মিলবে যেটা সে কল্পনাও করতে পারেনি।
২৫। যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত দরুদ শরীফ পড়বে তার সওয়াব লেখার জন্য 70 জন ফেরেশতাকে 1000 দিন পর্যন্ত কষ্টে ফেলা হবে।
২৬। যে ব্যক্তি একেবারেই গরিব, বহু কষ্টে জীবন যাপন করিতেছে।সে যদি প্রত্যেকদিন সকালে 200 বার “বিসমিল্লাহ” পড়ে তবে অল্প দিনের মধ্যে সচ্ছলতা এসে যাবে।
সূরা ইখলাসের ফজিলতঃ দৈনিক 200 বার পড়লে দশটা ফায়দা-
১। আল্লাহ পাক তার রাগের 300 দরজা বন্ধ করে দিবেন। যেমনঃ দুশমন গোস্বা, বিভিন্ন ধরনের ফেতনা।
২। রহমতের 230 দরজা খুলে দিবেন
৩। রিজিকের 300 দরজা খুলে দিবেন
৪। মেহনত ছড়া গায়েব থেকে রিযিক পৌঁছাবেন
৫। আল্লাহতালা নিজের এলেম দিবেন, আপন সবর থেকে সবর দিবেন, আপন বুঝ থেকে বুঝ দিবেন
৬। 66 বার কোরআন খতমের সওয়াব দিবেন
৭। 50 বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন
৮। জান্নাতের মধ্যে 20 টি মহল দিবেন যেগুলো ইয়াকুত, মারজান ও জমরজদের তৈরি হবে
৯। 2000 রাকাত নফল নামাজ পড়ার সওয়াব দিবেন
১০। যখন মারা যাবে 1 লাখ 10 হাজার ফেরেশতা জানাজায় শরিক হবেন।
ওয়াক্ত অনুযায়ী সহজে পড়ার উপায়ঃ
ফজরের পরঃ ৪, ১২, ১৩, ২০, ২১, ২৬
জোহরের পরঃ ৩
সকাল-সন্ধ্যাঃ ১, ২, ১৯
দিনের যেকোন সময়ঃ ৫, ৬, ৭, ১১, ১৭, ১৮, ২৩
---------
মফিজুল ইসলাম, সাতক্ষীরা।
প্রথম মুদ্রণঃ ১৪ অক্টোবর, ২০১২
দ্বিতীয় মুদ্রণঃ ১৮ ডিসেম্বর ২০২১
