একজন মুমূর্ষ রোগীর জন্যে জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন...
রক্তের গ্রুপঃ বলব না
---
(‘বলব না’, কারন এই ধরনের কোনও পোস্টগুলো হতে আসলে কোনও উপকার হয় বলে তো আমি মনে করি না। বেশ কয়েকদিন থেকেই হোম পেইজে এরকম “জরুরী ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন” লেখা পোস্টগুলো চোখে পড়ছে। শুধু, জরুরি ভিত্তিতে যার রক্ত দরকার, সে ছাড়া, আর অন্য কাউকে খুব একটা বিচলিত হতে দেখি নাহ।তার থেকে হয়ত আমরা বেশী বিচলিত ‘অনন্ত জলিলের লেটেস্ট ইন্টার্ভিউ’ বা ‘গদ্য কবিতা লেখা’ নিয়ে ।
বিষয়টার ভিত্তি, জরুরীতে না চলে যাবার যে কোনও একটা উপায় অবশ্যই আমাদের বের করা উচিত। সার্চ করে দেখলাম ফেসবুকে ‘ব্লাড হেল্প লাইন’ টাইপ কয়েকটা পেইজ অবশ্য আছে কিন্তু সেখানে আবার ইউজার তেমন নাই। এর থেকে কয়েকশত গুন ইউজার যেয়ে বসে আছে ‘মাইয়া তোরে খালি আমি POKE করসি... EVE-TEASEING তো আর করি নাই’ টাইপ পেইজগুলোতে।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে, আমরা এতটাই আন-সোশ্যাল হয়ে গেছি যে ‘জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন’ পোস্টগুলো আমাদের এখন আর খুব একটা নাড়া দেয় নাহ। এখন থেকে যদি আমাদের মধ্যে ‘লেটস বি পজিটিভ’ এটিটিউড না আনতে পারি, কয়েকদিন পর আসলেই দেখা যাবে ‘বি পজিটিভের’ মত সহজলভ্য রক্তও জরুরী ভিত্তিতে খুঁজতে হচ্ছে… আর তখন, সেই দিন বেশী দূরে থাকবে না যখন প্রয়োজনের তাগিদেই তিন মাস পর পর নিজেদের রক্তই বোতলে করে, বাসার ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে... প্রত্যেকের বাসার ফ্রিজে থাকবে পার্সোনাল ব্লাড ব্যাংক। এক্সিডেন্টের খবর পেলেই আত্মীয়-স্বজন ফ্রিজ থেকে বোতলটা বের করে খেইচে দৌড় দিবে হাসপাতালে।
এই পোস্টের আসলে কোনও কংক্রিট পয়েন্ট নেই। কোথায় যেয়ে থামবো বুঝতে পারছি নাহ। আপাতত আমার ৭/৮ মাস আগের একটা পোস্টকে রেফার করে রিকোয়েস্ট করছি যে, প্লিজ এখানে যেয়ে ইতিমধ্যে যারা তাদের ব্লাড গ্রুপ এখনও লেখেন নি... তারা প্লিজ দয়া করে লিখে ফেলেন..
এর পর থেকে হোম পেইজে ‘জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন’ এরকম পোস্ট চোখে পড়লে, পোষ্ট দাতাকে যেন অন্তত আমার ওই পোস্টে (লিংকটা নিচে, কমেন্ট বক্সে দেয়া আছে) ট্যাগ করতে পারি।
[NB: মূল লেখক Arif R Hossain ভাই। উনার ওয়েবসাইট
http://arifrhossain.com ডাউন। তাই আমি ওয়েব আর্কাইভ থেকে কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যাতে করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও লেখাগুলা পড়তে পারে। Wednesday, 14 November 2012]
