২/১ টা সন্তান ভাল নয়, :)
৫ এর অধিক হলে ভাল হয়।
যদিও আমাদের দেশে কিছু এন.জিও ১/২ টা'র বেশি সন্তান না নিতে বলতেছে, সেখানে কেন আমি অধিক সন্তান নেয়ার পক্ষে?
উষর মরুর ধূসর বুকে যদি একটি শহর গড়ো,
একটি শিশু মানুষ করা তাহার চেয়ে অনেক ভাল।
এক সময় পুরো পৃথিবী শাসন করতো মুসলমানেরা। কারণ তখন মুসলিমদের সংখ্যা বেশি ছিল। কিন্ত বর্তমানে খ্রীষ্টানদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় তারা পুরো পৃথিবী শাসন করতেছে। এটা একটা অটোমেটিক প্রসেস। পৃথিবীর ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, শুধু মুসলিম-খৃষ্টান না, যে জাতি যখন সংখ্যায় বেশি ছিল সেই জাতি তখন অন্য সব জাতিদের শাসন করত।
আমাদের দেশের এন.জি.ও গুলা সব ইউরোপ-আমেরিকার মদদ পুষ্ট। ইউরোপ-আমেরিকা খৃষ্টানদের দ্বারা পরিচালিত। কাজেই তাদের শিখিয়ে দেয়া বুলি আমাদের দেশে আওড়াবে এটা স্বাভাবিক।
আপনি যদি খৃষ্টান কান্ট্রি আমেরিকার দিকে তাকান- দেখবেন সেখানে এরকম কোন অপপ্রচার নেই। একটা বাচ্চার জন্মদানের পর ১৮ মাস পরে আরো একটা সন্তান গর্ভে ধারণ করা সেখানে স্বাভাবিক রেঞ্জ। কিন্ত আমাদের দেশে বলা হয়, প্রথম বাচ্চা জন্ম দেয়ার মিনিমাম ৩/৪ বছর পর দ্বিতীয় বাচ্চা নিতে হবে। ফেসবুকের সহঃ প্রতিষ্টাতা মার্ক জাকারবার্গের স্ত্রী প্রিসিলার কথাই ধরেন। উনার প্রথম মেয়ে সন্তান ম্যাক্সের জন্মের ১৮ মাসের মধ্যে উনার স্ত্রী আবার প্রেগন্যান্ট। সেখানে আমাদের দেশে এসব অপপ্রচার কিভাবে মেনে নেয়া যায় যে - ২ টা সন্তানের বেশি নয়, ১ টা হলে ভাল হয়?
আমি মানুষের সাথে একটু গভীরভাবে মেশার চেষ্টা করি। এটা বাচ্চাকাল থেকে অভ্যাস। :P আমি এই পর্যন্ত যত ৫০ উর্ধো যত ফরেইনারের সাথে কাজ করেছি তাদের প্রত্যেকের মিনিমাম ৩/৪/৫ টা করে সন্তান। অনেকের তার চেয়ে বেশিও আছে। আমি তাদের জিজ্ঞেস করে জেনেছি।
এখান থেকে ১৫/২০ বছর আগেও এসব অপপ্রচার ছিলনা। আমাদের দাদা বা বাপের আমলেও দেখা যায়, একেজনের মিনিমাম ১০/১২ টা করে সন্তান। আর যেগুলা পেটে বা প্রসবের মারা যায় সেগুলার হিসাব তারা জানেনা। কিন্ত বেচে থাকে ১০/১২ জনের মত।
এন.জি.ও'রা যখন এসব অপপ্রচার করে তখন তারা প্রধান কারণ দেখিয়ে বলে খাদ্য ঘাটতি পুরণের জন্য কম সন্তান নেয়া ভাল। কিন্ত আপনি ১৯৭১ সালের কথা চিন্তা করেন, তখন পুরো দেশে মানুষ ছিল মাত্র ৭ কোটি। তখন মানুষের খাদ্যের অভাব ছিল চরমে। একবেলা, অর্ধবেলা খেয়ে না খেয়ে মানুষ দিন কাটাত। তখনকার দিনে যেসব গল্প/উপন্যাস লেখা হত সেসব গল্প পড়লেই বুঝবেন তখন মানুষের অবস্থা কত নাজুক ছিল। তখনকার দিনে গল্পের মধ্যে আছে আবু ইসহাকের সূর্য দীঘল বাড়ী এবং জোক, বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের পুইমাচা, প্রেমেন্দ মিত্রের পুন্নাম,নরেন্দ্রনাথ মিত্রের রস। এছাড়াও আরো আছে। যাহোক, এটা আলোচনার বিষয় না। তখনকার দিনে যে পরিমান আবাদী জমি ছিল, এখন তার থেকে অনেক অনেক কম আবাদী জমি আছে। তখন বেশি আবাদী জমি আর লোক সংখ্যা কম থেকেও চরম খাদ্য সংকটে ভুগত। আর এখন তার তিন গুণ মানুষ আর অল্প কিছু আবাদী জমি নিয়েও মানুষের খাদ্য সংকট একেবারেই নেই। তাহলে খাদ্য সংকটের অভিযোগ এনে এন.জিও গুলো যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তা একেবারেই ভিত্তিহীন। লোকসংখ্যা বেশি হলে ব্যবস্থা একটা হয়েই যাবে। ১৯৭১ থেকে এই পর্যন্ত যখন আটকাইনি, এখনো আটকাবেনা।
বাংলাদেশের ফ্যামিলি সিস্টেম আশাকরি পৃথিনীর অন্যান্য দেশের চেয়েও অনেক ভাল। পরিবারের একে অন্যের সাথে গভীর সদ্ভাব। কিন্ত যেসব পরিবারে একটা মাত্র ছেলে ও একটা মাত্র মেয়ে আছে এবং যাদের ধর্ম শিক্ষা দেয়নি - তাদের মত নষ্ট ছেলে-মেয়ে আপনি দ্বিতীয়টি পাবেন না। তবে ব্যতিক্রম যেটা আছে সেটা যৎসামান্য। কিন্ত অপরদিকে যেসব পরিবারে অনেকগুলা ছেলে-মেয়ে তারা আদর-যত্ন একটু কম পায়, তারা ক্রেজি কম হয়। তাদের নিজেদের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে। একে অন্যের সাথে কিভাবে মিলে-মিশে চলতে হয়, কম্প্রোমাইস করতে হয়, প্রতিকুল পরিবেশে কিভাবে টিকে থাকতে, কিভাবে না পাওয়া বা হতাশা কাটিয়ে উঠতে হয় সেটা তারা খুব ভাল জানে।
পরিসংখ্যান বলছে- গত ৭/৮ বছর মানুষ জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা অনেক কমায়ে দিছে। কিন্ত আমি দেখতেছি - আমাদের এলাকায় এখান থেকে ৭/৮ বছর আগে যারা নিন্মবিত্ত ছিল, এখন তারা মধ্যবিত্ত। অনেকে তাদের মেধা দিয়ে উচ্চ বিত্তের পর্যায়ে চলে গেছে। আশাকরি, বাংলাদেশের সব জেলায় প্রায় একই অবস্থা যে মধ্যবিত্তরা উচ্চবিত্তে যাচ্ছে এবং নিন্মবিত্তরা মধ্যবিত্ত হচ্ছে, এবং এটা খুব দ্রুত গতিতে হচ্ছে। এই যখন অবস্থা, তখন এন.জি.ও'দের কথা শুনে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা একটা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুনা।
প্রকৃতপক্ষে মুসলিমদের পিছিয়ে রাখার জন্য এটা একটা ষড়যন্ত্র। তাই বেশি বেশি বাচ্চা উৎপাদন করুন, সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করুন, নবীর উম্মত বাড়ান, সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ুন।
লেখকঃ মফিজুল (একজন আম-জনতা)

আমেরিকা জনসংখ্যাকে উৎসাহিত করে। তাদের বাচ্চাদের টিশার্টে লেখা থাকে- ‘আমি আমার বাবার টেক্স কমিয়ে দিচ্ছি।’ যত বেশি সন্তান, তত কম টেক্স। একই রকম কানাডাতে, অস্ট্রেলিয়াতে। কিন্তু ভারত তার বিপরীত। এখানকার স্লোগান হচ্ছে ‘আমরা দুজন, আমাদের দুজন। একটা পর এখন না, দুটোর পর কখনওই না।’ এটা ভারত সরকারের সমস্যা। চীনে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা। এক্ষেত্রে ভারত দ্বিতীয়। আপনারা জানেন, ভবিষ্যতে সুপার পাওয়ার দেশ হবে কোন দুটি! এক চীন, দুই ভারত। আর এটা হবে জনসংখ্যার কল্যাণে।
উত্তরমুছুনকুরাণের বাণীঃ
উত্তরমুছুন.
‘তোমাদের সন্তানদের হত্যা করো না দারিদ্রতার ভয়ে। আমি তোমাদের রিজিক দিবো এবং তোমাদের সন্তানদেরও। [সুরা আনআম : আয়াত- ১৫১]।
.
‘তোমাদের সন্তানদের হত্যা করো না দারিদ্রতার ভয়ে। আমি তোমাদের রিজিক দিবো এবং তোমাদের সন্তানদেরও। নিশ্চয় তাদের হত্যা করা বড় অবিচার। [সুরা ইসরা : আয়াত- ৩১]।
অনেকে বলে থাকেন ‘কম সন্তান হলে ভালো শিক্ষা-দীক্ষা দেয়া যাবে!’ তাদের উদ্দেশ্যে বলব, নোবেল বিজয়ীদের দেখেন, তাদের কেউই পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান ছিলেন না। অনেকেই দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম সন্তান ছিলেন। তারা নোবেল বিজয়ী ছিলেন। মেধাবী ছিলেন। সুতরাং এটা ভুল ধারণা।
উত্তরমুছুনমাশাআল্লাহ সু চিন্তিত মতামত ।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ মোস্তফা কামাল ভাই। এই মতামতটা অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য শেয়ার করতে পারেন।
মুছুন