মেসে থাকলে বিভিন্ন রকমের পোলাপানের সাথে পরিচিত হওয়া যায়। মেসের থাকার অভিজ্ঞতা এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। আজ একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি।
এটা বছর তিনের আগের কথা। আমি তখন কলেজের পিছনে এক মেসে থাকতাম। ঐ মেসে আমার রুমের পাশে ইন্টার পড়ুয়া এক ছোট ভাই থাকত। ধরে নিই তার নাম নিশান। বয়স হিসাবে তার অনার্স ২য় বা ৩য় বর্ষে পড়ার কথা। কিন্ত ক্লাস গ্যাপ দেয়া বা যেকোন কারণে সে পিছিয়ে পড়েছে। তার আব্বা-আম্মা দুজনেই সরকারী চাকুরীজীবি। দুই ভাই-বোন। সে ছোট, বোন বড়। বলা যায় উচু ঘরের আদুরে সন্তান।
মেসের অন্যান্য ছেলেদের চেয়ে সে একটু বেশী আবেগী ছিল। মেসের সব ছেলে সাপ্লাইয়ের পানি খেলেও, সে বাইরে থেকে বোতলজাত পানি কিনে খেত। পড়া-শোনার জন্য যদিও মেসে আসছিল সারাক্ষণ সে মোবাইল আর ল্যপটপ নিয়ে পড়ে থাকত। তার রুম ছিল খুবই অগোছালো। মেসে আমিও একজন ল্যপটপ ইউজার থাকাতে সে বিভিন্ন সময় আমার কাছে আসত।
কথায় কথায় একদিন বলল যে সে যখন ছোট, তখন তার খালাত বোনের সাথে প্রেম হয়। বর্তমানে তারা দুজনই একই ক্লাসে পড়ে। সেদিন আমি বুঝলাম নিশানের ক্লাস গ্যাপ দিয়ে ইন্টার পড়ার কারণ। তাদের দুই ফ্যামিলি নাকি তাদের প্রেমের ব্যাপারে জানত। ছোটবেলায় প্রেমের কথা জেনে তাকে পিডাইয়েছিল কিনা জানিনা। আদুরে ছেলেদের অনেকে দোষ আবার পিতা-মাতা ক্ষমা করে দেয়। বড় হতে হতে বটগাছের মত তাদের সেই প্রেমের শাখা-প্রশাখা ছড়াল। ধীরে ধীরে কলেবর বাড়তে থাকল। হাইস্কুলে ছেড়ে খালাত বোন কলেজে আসলো। বিভিন্ন নতুন ছেলেদের সাথে নিশানকে কম্পেয়ার করতে শুরু করলো। এরমধ্যে সেই গাছের ছায়ায় খালাত বোন পুরনোকে (নিশান) সরিয়ে দিয়ে নতুনদের স্থান দিতে শুরু করল। অসহায় আবেগী বালক নিশান কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারলো না। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখে।
খালাত বোনের প্রেমের বট বৃক্ষে অন্যে মানুষের ছায়া নিতে দেখে নিশানের শুধু জ্বলতে থাকে। অনেকটা ধিকে ধিকে জ্বলা তুষের আগুনের মত। কিন্ত তার এতটুকু সাহস হয়না যে তার সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করবে সে কেন এমন করতেছে! সে তার খালাত বোনকে আবার অনেক ভয় পেত। একদিন সকালে মেসে রান্না হয়নি। নাস্তা করার জন্য আমি বাইরে যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছি। এমন সময় নিশান হাপাতে-হাপাতে ছুটে আসলো। বললো, " ভাই, আমার বুকের মধ্যে যেন হাতুড়ি পিটানি দিচ্ছে?" আমি বললাম কি হয়েছে? বললো যে, "আজ কলেজে অনেকদিন পর তাকে দেখেছি। সে আমার দিকে তাকানোর আগেই আমি দৌড় দিয়েছি। তাকে দেখার পর থেকেই আমার বুকের মধ্যে যেন হাতুড়ি পিটানো শুরু হয়ে গেছে।" আমি বললাম তার দেখার আগে দৌড় দিয়ে খুবই ভাল করেছ, একেবারে বীরের মত কাজ করেছ। তারপর তার পিঠে দুম দুম করে দু'চারটে চড় লাগিয়ে দিলাম যাতে বুকের ধুক-ধুকানি থেমে যায় :P
ধরে নিই নিশানের খালাত বোনের নাম, সামিয়া। একদিন আমি তাকে অভয় দিলাম যে তুমি কেন সামিয়াকে জিজ্ঞেস করছেনা যে সে এমন করতেছে কেন? যেকোন কিছুর তো একটা কারণ থাকবে। সেদিন সে সাহস করে সামিয়াকে ফোন দিল। সামিয়া সাফ জানিয়ে দিল যে তার জীবনের ব্যাপারে সে কারো কাছে কোন প্রকার কৈফিয়ত দিতে প্রস্তত না। তার যা ভাল লাগবে, সে তাই করবে। এটা শুনে নিশানের মন অনেক খারাপ হয়ে গেল। সে সামিয়াকে তার দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য উঠে-পড়ে লেগে গেল। বলা যায় এক প্রকার ছ্যাচড়ামী শুরু করে দিল।
একদিন শুনি নিশান এক কবিরাজের কাছে গেছে তাবিজ আনতে, সামিয়াকে বশ করার তাবিজ। তাবিজ নেয়ার আগে কবিরাজের কাজের ফিডব্যাক নেয়ার জন্য কবিরাজের পাশের বাড়ীর মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করলো যে এই কবিরাজের তাবিজে কাজ হয় কি না? তারা বলল যে- কবিরাজ তোমাকে আর কি তাবিজ দিবে, কবিরাজের বৌ তো ভাগছে অন্য একটা ছেলের সাথে। এটা শুনে নিশান আরেক প্রস্থ মন খারাপ করে চলে আসলো।
কিন্ত নিশান তো ভুলতে পারছেনা। যে ভাবেই হোক সামিয়াকে ফিরিয়ে আনতে হবে। অনেক খোজা-খুজির পর আরেক কবিরাজের সন্ধান পেল। আমি তাকে নিষেধ করলাম এসব না করতে। কিন্ত সে তার এক বন্ধুকে নিয়ে সেই কবিরাজের বাড়ীতে গেল। কবিরাজ তাবিজ দিল, হাদীয়া নিল ৪০১ টাকা। শর্ত দিল গোলাপ ফুল গাছের নিচে মাটি খুড়ে এই তাবিজ পুতে দিতে হবে।
মেসে এসে নিশান গোলাপ ফুল গাছ খুজতে লাগলো। কিন্ত খোলা জায়গায় গোলাপ ফুল গাছ সচরাচর দেখা যায়না। অনেক খোজা-খুজি করে একটা গোলাপ ফুল গাছ পাওয়া গেল। আমাদের মেস থেকে কিছুটা দূরে একটা মসজিদের পাশে আছে। কিন্ত মসজিদের চারপাশেই লোকজন। দিনের বেলা ওখানে গেলে অপরিচিত ছেলেদের দেখে মসজিদ কমিটি হোক বা আশ-পাশের মানুষেরা নানান কথা জিজ্ঞেস করবে, আর মাটি খুড়তে গেলে তো আরেক ঝামেলা।
তাই সিদ্ধান্ত নিল রাত ১২/১ টার দিকে যাবে। নিশান তার এক বন্ধু সহ মাঝ রাতে গেল সেই গোলাপ গাছের নিকটে। মাটি খুড়ে যেইনা তাবিজ পুততে যাবে, ঐরকম সময় পাশে ছিল মসজিদের খাদেমের ঘর। সে হাক ছাড়লো, মাঝরাতে কে রে ওখানে? খাদেমের হাক শুনে তারা দুজনে দৌড়ে মেসে চলে আসলো। তাবিজ আর ঐ রাতে পোতা হলনা।
কিন্ত তাবিজ তো যেভাবেই হোক গোলাপ গাছের নিচে পুতে দিতে হবে। অনেক ভেবে-চিন্তে অবশেষে নার্সারী থেকে গোলাপ গাছ সহ একটা টব কিনে আনলো। ঐ টবের মাটির ভিতরেই তাবিজ পোতা হবে। এটা নিয়ে মেসের ছেলে-পেলেদের হাসা-হাসির অন্ত নেই। তারপরও সবাই তার পাগলামী উপভোগ করছিল। টবের মাটিতে তাবিজ পুতে নিশান সেই টব রুমের সামনে রেখে দিল। সকাল-বিকাল সেই টবে পানি দেয় যাতে গাছ না মরে যায়। এর মধ্যে মাস খানেক চলে গেছে। একদিন দেখা গেল টবের গোলাপ গাছে ছোট গোলাপের কুড়ি বেরিয়েছে। আমি নিশানকে বললাম যে, গোলাপ গাছে নতুন কুড়ি আসা মানে সামিয়ার সাথেও তোমার প্রেমের কুড়ি ফুটবে। শুনে খুবই খুশী হল। এভাবে চলতে থাকলো।
একদিন সকালে উঠে দেখি মেসের পাশে যারা ছাগল পুষত তাদের ছাগল এসে নিশানের টবের গোলাপ গাছ খেয়ে সাবাড় করে দিয়েছে। এটা দেখে নিশান মাথা চাপড়াতে লাগলো। টাকা গেল, শ্রম গেল, অবশেষে টবের গাছও ছাগলে খেয়ে ফেললো?
আমাদের ভালবাসা হয়ে গেল ঘাস।
খেয়ে গেল গরু, দিয়ে গেল বাশ।
এরপর সে অন্য একটা মেয়ের সাথেও প্রেম করেছিল। কিন্ত সেটা কন্টিনিউ করতে পারেনি। এখন কি করে শিওর জানিনা। মনে হয় ঢাকায় মুড়ি বেচে।
এটা বছর তিনের আগের কথা। আমি তখন কলেজের পিছনে এক মেসে থাকতাম। ঐ মেসে আমার রুমের পাশে ইন্টার পড়ুয়া এক ছোট ভাই থাকত। ধরে নিই তার নাম নিশান। বয়স হিসাবে তার অনার্স ২য় বা ৩য় বর্ষে পড়ার কথা। কিন্ত ক্লাস গ্যাপ দেয়া বা যেকোন কারণে সে পিছিয়ে পড়েছে। তার আব্বা-আম্মা দুজনেই সরকারী চাকুরীজীবি। দুই ভাই-বোন। সে ছোট, বোন বড়। বলা যায় উচু ঘরের আদুরে সন্তান।
মেসের অন্যান্য ছেলেদের চেয়ে সে একটু বেশী আবেগী ছিল। মেসের সব ছেলে সাপ্লাইয়ের পানি খেলেও, সে বাইরে থেকে বোতলজাত পানি কিনে খেত। পড়া-শোনার জন্য যদিও মেসে আসছিল সারাক্ষণ সে মোবাইল আর ল্যপটপ নিয়ে পড়ে থাকত। তার রুম ছিল খুবই অগোছালো। মেসে আমিও একজন ল্যপটপ ইউজার থাকাতে সে বিভিন্ন সময় আমার কাছে আসত।
কথায় কথায় একদিন বলল যে সে যখন ছোট, তখন তার খালাত বোনের সাথে প্রেম হয়। বর্তমানে তারা দুজনই একই ক্লাসে পড়ে। সেদিন আমি বুঝলাম নিশানের ক্লাস গ্যাপ দিয়ে ইন্টার পড়ার কারণ। তাদের দুই ফ্যামিলি নাকি তাদের প্রেমের ব্যাপারে জানত। ছোটবেলায় প্রেমের কথা জেনে তাকে পিডাইয়েছিল কিনা জানিনা। আদুরে ছেলেদের অনেকে দোষ আবার পিতা-মাতা ক্ষমা করে দেয়। বড় হতে হতে বটগাছের মত তাদের সেই প্রেমের শাখা-প্রশাখা ছড়াল। ধীরে ধীরে কলেবর বাড়তে থাকল। হাইস্কুলে ছেড়ে খালাত বোন কলেজে আসলো। বিভিন্ন নতুন ছেলেদের সাথে নিশানকে কম্পেয়ার করতে শুরু করলো। এরমধ্যে সেই গাছের ছায়ায় খালাত বোন পুরনোকে (নিশান) সরিয়ে দিয়ে নতুনদের স্থান দিতে শুরু করল। অসহায় আবেগী বালক নিশান কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারলো না। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখে।
খালাত বোনের প্রেমের বট বৃক্ষে অন্যে মানুষের ছায়া নিতে দেখে নিশানের শুধু জ্বলতে থাকে। অনেকটা ধিকে ধিকে জ্বলা তুষের আগুনের মত। কিন্ত তার এতটুকু সাহস হয়না যে তার সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করবে সে কেন এমন করতেছে! সে তার খালাত বোনকে আবার অনেক ভয় পেত। একদিন সকালে মেসে রান্না হয়নি। নাস্তা করার জন্য আমি বাইরে যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছি। এমন সময় নিশান হাপাতে-হাপাতে ছুটে আসলো। বললো, " ভাই, আমার বুকের মধ্যে যেন হাতুড়ি পিটানি দিচ্ছে?" আমি বললাম কি হয়েছে? বললো যে, "আজ কলেজে অনেকদিন পর তাকে দেখেছি। সে আমার দিকে তাকানোর আগেই আমি দৌড় দিয়েছি। তাকে দেখার পর থেকেই আমার বুকের মধ্যে যেন হাতুড়ি পিটানো শুরু হয়ে গেছে।" আমি বললাম তার দেখার আগে দৌড় দিয়ে খুবই ভাল করেছ, একেবারে বীরের মত কাজ করেছ। তারপর তার পিঠে দুম দুম করে দু'চারটে চড় লাগিয়ে দিলাম যাতে বুকের ধুক-ধুকানি থেমে যায় :P
ধরে নিই নিশানের খালাত বোনের নাম, সামিয়া। একদিন আমি তাকে অভয় দিলাম যে তুমি কেন সামিয়াকে জিজ্ঞেস করছেনা যে সে এমন করতেছে কেন? যেকোন কিছুর তো একটা কারণ থাকবে। সেদিন সে সাহস করে সামিয়াকে ফোন দিল। সামিয়া সাফ জানিয়ে দিল যে তার জীবনের ব্যাপারে সে কারো কাছে কোন প্রকার কৈফিয়ত দিতে প্রস্তত না। তার যা ভাল লাগবে, সে তাই করবে। এটা শুনে নিশানের মন অনেক খারাপ হয়ে গেল। সে সামিয়াকে তার দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য উঠে-পড়ে লেগে গেল। বলা যায় এক প্রকার ছ্যাচড়ামী শুরু করে দিল।
একদিন শুনি নিশান এক কবিরাজের কাছে গেছে তাবিজ আনতে, সামিয়াকে বশ করার তাবিজ। তাবিজ নেয়ার আগে কবিরাজের কাজের ফিডব্যাক নেয়ার জন্য কবিরাজের পাশের বাড়ীর মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করলো যে এই কবিরাজের তাবিজে কাজ হয় কি না? তারা বলল যে- কবিরাজ তোমাকে আর কি তাবিজ দিবে, কবিরাজের বৌ তো ভাগছে অন্য একটা ছেলের সাথে। এটা শুনে নিশান আরেক প্রস্থ মন খারাপ করে চলে আসলো।
কিন্ত নিশান তো ভুলতে পারছেনা। যে ভাবেই হোক সামিয়াকে ফিরিয়ে আনতে হবে। অনেক খোজা-খুজির পর আরেক কবিরাজের সন্ধান পেল। আমি তাকে নিষেধ করলাম এসব না করতে। কিন্ত সে তার এক বন্ধুকে নিয়ে সেই কবিরাজের বাড়ীতে গেল। কবিরাজ তাবিজ দিল, হাদীয়া নিল ৪০১ টাকা। শর্ত দিল গোলাপ ফুল গাছের নিচে মাটি খুড়ে এই তাবিজ পুতে দিতে হবে।
মেসে এসে নিশান গোলাপ ফুল গাছ খুজতে লাগলো। কিন্ত খোলা জায়গায় গোলাপ ফুল গাছ সচরাচর দেখা যায়না। অনেক খোজা-খুজি করে একটা গোলাপ ফুল গাছ পাওয়া গেল। আমাদের মেস থেকে কিছুটা দূরে একটা মসজিদের পাশে আছে। কিন্ত মসজিদের চারপাশেই লোকজন। দিনের বেলা ওখানে গেলে অপরিচিত ছেলেদের দেখে মসজিদ কমিটি হোক বা আশ-পাশের মানুষেরা নানান কথা জিজ্ঞেস করবে, আর মাটি খুড়তে গেলে তো আরেক ঝামেলা।
তাই সিদ্ধান্ত নিল রাত ১২/১ টার দিকে যাবে। নিশান তার এক বন্ধু সহ মাঝ রাতে গেল সেই গোলাপ গাছের নিকটে। মাটি খুড়ে যেইনা তাবিজ পুততে যাবে, ঐরকম সময় পাশে ছিল মসজিদের খাদেমের ঘর। সে হাক ছাড়লো, মাঝরাতে কে রে ওখানে? খাদেমের হাক শুনে তারা দুজনে দৌড়ে মেসে চলে আসলো। তাবিজ আর ঐ রাতে পোতা হলনা।
কিন্ত তাবিজ তো যেভাবেই হোক গোলাপ গাছের নিচে পুতে দিতে হবে। অনেক ভেবে-চিন্তে অবশেষে নার্সারী থেকে গোলাপ গাছ সহ একটা টব কিনে আনলো। ঐ টবের মাটির ভিতরেই তাবিজ পোতা হবে। এটা নিয়ে মেসের ছেলে-পেলেদের হাসা-হাসির অন্ত নেই। তারপরও সবাই তার পাগলামী উপভোগ করছিল। টবের মাটিতে তাবিজ পুতে নিশান সেই টব রুমের সামনে রেখে দিল। সকাল-বিকাল সেই টবে পানি দেয় যাতে গাছ না মরে যায়। এর মধ্যে মাস খানেক চলে গেছে। একদিন দেখা গেল টবের গোলাপ গাছে ছোট গোলাপের কুড়ি বেরিয়েছে। আমি নিশানকে বললাম যে, গোলাপ গাছে নতুন কুড়ি আসা মানে সামিয়ার সাথেও তোমার প্রেমের কুড়ি ফুটবে। শুনে খুবই খুশী হল। এভাবে চলতে থাকলো।
একদিন সকালে উঠে দেখি মেসের পাশে যারা ছাগল পুষত তাদের ছাগল এসে নিশানের টবের গোলাপ গাছ খেয়ে সাবাড় করে দিয়েছে। এটা দেখে নিশান মাথা চাপড়াতে লাগলো। টাকা গেল, শ্রম গেল, অবশেষে টবের গাছও ছাগলে খেয়ে ফেললো?
আমাদের ভালবাসা হয়ে গেল ঘাস।
খেয়ে গেল গরু, দিয়ে গেল বাশ।
এরপর সে অন্য একটা মেয়ের সাথেও প্রেম করেছিল। কিন্ত সেটা কন্টিনিউ করতে পারেনি। এখন কি করে শিওর জানিনা। মনে হয় ঢাকায় মুড়ি বেচে।
ছবিঃ গুগল
শেয়ার করতে ভুলবেন না।

