আপনার ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় কাদের রাখবেন

 আপনার চিন্তা-ভাবনা গুলো আসলে কেমন হবে? আপনি আপনার চারপাশে যে ধরণের লোক-জন রাখবেন আপনার চিন্তা-ভাবনাগুলো ঠিক সেই রকম হবে। যদি আপনি ফেসবুকে দিনের মধ্যে ভালোই সময় দেন তাহলে এটাও আপনার মানসিক গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

যেমন- আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে অথবা যেসব পেইজ আপনি ফলো করছেন তারা যদি ছ্যাকাখোর টাইপের হয় তাহলে তারা এমন পোষ্ট করবে-

১।

সব পাখি কি নীড়ে ফিরে যায়,

অনেকেই উরে যায় অজানা আশায়,

সব স্মৃতি কি আর মুছে ফেলা যায়,

কিছু কিছু স্মৃতিও অমলিন হয়ে যায়।

২।

তুমি আমার অনেক শখের প্রিয়!

ডুবেছি আমি তোমার ভালোবাসার মায়ায়, 

কোনো মতে হারাতে চাই না তোমায় প্রিয়।

৩।

মানুষ সবসময় এক থাকে না। মানুষ শিখে, মানুষ শিক্ষা পায়, অতঃপর মানুষ বদলায়।

৪।

কান্না লুকিয়ে যে একবার হাঁসতে শিখে গেছে, তুমি হাজার চেষ্টা করেও তাকে কাঁদাতে পারবে না। মানুষ কখনো হেরে যায়না, বরং মেনে নিয়ে থেমে যায়।

৫।

যে সত্যি ভালোবাসে better কাউকে কখনো খোঁজে না, Better বানিয়ে নিতে পছন্দ করে! ভালোবাসার গভীরতা তখনি বুঝতে পারা যায়, যখন ভালোবাসার মানুষটা মনের বিপরীতে খানিকটা সময়ের জন্য হলেও দূরে চলে যায়।

৬।

কতটা ভালোবাসি জানিনা! তবে মোবাইলের ডাটা অন করার পর 

ওই একটা নোটিফিকেশনের অপেক্ষায় থাকি! হাজারো নোটিফিকেশনের ভিড়ে 

শুধুমাত্র সেই মানুষটার মেসেজের নোটিফিকেশনটাই মুখে একটা মুচকি হাসি ফুটিয়ে তোলে!

৭।

ভালোবাসা কি জানো? ভালোবাসা হলো এক ধরনের চাকরি। যার ভেতর হলো দুঃখ। নাইট ডিউটি হলো কান্না। বোনাস হলো অন্তরের আঘাত, এবং বার্ষিক আয় হলো স্মূতি।

এসব চুলপাকা মার্কা পোষ্ট নিয়মিত আপনার সামনে আসতে থাকলে আপনার প্রাক্তনের উপর যদি কোন রাগ নাও থাকে, তবুও তার প্রতি রাগ চলে আসবে। ব্রেকাপের ৫ বছর পরও তাকে নতুন করে গালি দিতে শুরু করবেন এবং সাথে সাথে আশে-পাশের মানুষের প্রতিও আপনার তিক্ত ধারণা চলে আসবে। আপনি যদি সত্যি নিজেকে গ্রো-আপ করতে চান তাহলে অবশ্যই এ ধরণের পোষ্ট করা ব্যক্তিদের আনফ্রেন্ড এবং পেইজগুলোকে এখনি আনফলো করা উচিৎ। 

এছাড়াও যেসব লেখা নিজের অহংবোধকে জাগ্রত করে, নিজের ইগোকে উগ্র করে তোলে, নিজের ভিতর 'আমিত্ব' ভাব জাগিয়ে তোলে - সেসব লেখা ইগ্নোর করা উচিত। এটা না পারলে ধীরে ধীরে আপনি বন্ধুশূণ্য হয়ে যাবেন অথবা অকেজো লোকজন দিয়ে আপনার চারপাশ পূর্ণ হয়ে যাবে। তারা আপনার হতাশ ভাবনাগুলো আরো বাড়িয়ে দিবে।

কিন্ত আপনার ফলো করা পেইজ ও বন্ধুগুলা যদি জীবনমুখী বাস্তবসম্মত, আশা জাগানিয়া আলোচনা করে এবং এমন সব লেখা পোষ্ট করে যা দিয়ে নিজেকে সর্বদা মোটিভেট রাখা যায় তাহলে দিনকে দিন আপনি উন্নতির দিকে ধাবিত হবেন। এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর আপনি অবশ্যই সাফল্যের দেখা পাবেন অথবা আপনার কাংখিত বস্তু পেয়ে যাবেন। এমন পোষ্টের উদাহরণগুলা এমন-



১। 

ক্ষমা ও ভালোবাসা অর্জনের চেয়ে বিশ্বাস অর্জন করা কঠিন। বিশ্বাসের কারণেই আমরা এক পায়ের পর আরেক পা সামনে বাড়াই। তবে বিশ্বাস অর্জন করার জন্য তোমাকেও বিশ্বস্ত হতে হবে, এটা ছাড়া আর কোনও পথ নেই। 

২। 

তুমি নিজে না চাইলে তোমাকে কেউ তোমার স্বপ্নের পথ থেকে সরাতে পারবে না। তুন স্বপ্ন দেখার জন্য বয়স কোনও বাধাই নয়। তাই যদি আগামীকাল কিছু অর্জন করতে চাও, তবে আজ থেকেই স্বপ্ন দেখা শুরু করো।

৩। 

তুমি যেখান থেকেই আসো না কেন অথবা তুমি যে অবস্থায়ই থাকোনা, স্বপ্ন দেখার ও তা সফল করার অধিকার তোমার আছে। স্বপ্নই শুধু পারে ব্যর্থতার তলানী থেকে একজন মানুষকে আবার উঠে দাঁড়ানোর সাহস যোগাতে।

৪।

সফল হতে চাইলে তোমাকে সামনে আসা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে, বেছে বেছে চ্যালেঞ্জ নেয়া যাবে না। 

৫।

সৃষ্টিকর্তার কাছে সেই ধনীরা সবচেয়ে প্রিয়, যারা ধনী হওয়ার পরও গরিবের মত বিনয়ী। 

৬।

বাস্তব যে কোনও কঠিন অবস্থা কাটানো সম্ভব। মানুষ শুধু মনে মনে কল্পনা করা কঠিন অবস্থা কাটাতে পারে না।

৭।

যদি তোমার সামনে হতাশার কালো পাহাড় এসে দাঁড়ায়, তুমি তাতে আশার সুড়ঙ্গ কাটতে শুরু করো। জয় তোমার হবেই।

তাই আজকেই আপনার একশন নেওয়া উচিত কাদের আপনি লিস্টে রাখবেন আর কাদের আপনি আনফলো করবে। এই কাজটা একটু ঝামেলার। তারপরও একশন নিতে হবে। কারণঃ Action is the foundation key to all success.


- Mofizul Islam

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম