১৬শ তারাবীতে পড়া হবে সেখান থেকে কুরানের আলোচিত কিছু অংশ

আজ এশার নামাজের পর আগামীকালের ১৬তম রোজার তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআন থেকে ১৯তম পারা তেলাওয়াত করা হবে।

১৯তম পারা (সুরা ফুরকানের ২১নং আয়াত থেকে সুরা নাম’লের ৫৯নং আয়াত পর্যন্ত) থেকে সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:-

•আপনি কাফেরদের আনুগত্য করবেন না এবং  কোরআনের সাহায্যে তাদের সাথে কঠোর সংগ্রাম চালিয়ে যান। [ সুরা ফুরকান-৫২ ]

•তিনিই সমান্তরালে দুই সমুদ্র প্রবাহিত করেছেন- একটি মিষ্ট, তৃষ্ণা নিবারক ও অপরটি লোনা, বিস্বাদ; উভয়ের মাঝখানে রেখেছেন একটি অন্তরায়, একটি দুর্ভেদ্য আড়াল। [ সুরা ফুরকান-৫৩ ]

•তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানুষকে, অতঃপর তাকে রক্তগত, বংশ ও বৈবাহিক সম্পর্কশীল করেছেন। তোমার পালনকর্তা সবকিছু করতে সক্ষম। [ সুরা ফুরকান-৫৪ ]

•আমি আপনাকে সুসংবাদ ও সতর্ককারীরূপেই প্রেরণ করেছি। [ সুরা ফুরকান-৫৬ ]

•আপনি সেই চিরঞ্জীবের উপর ভরসা করুন, যার মৃত্যু নেই এবং তাঁর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করুন। তিনি বান্দার গোনাহ সম্পর্কে যথেষ্ট অবহিত। [ সুরা ফুরকান-৫৮ ]

•তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের অন্তর্বর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃস্টি করেছেন; অতঃপর আরশে সমুন্নত হয়েছেন। তিনি পরম দয়াময়। তাঁর সম্পর্কে যিনি অবগত, তাকে জিজ্ঞেস করে দেখ। [ সুরা ফুরকান-৫৯ ]

•'রাহমান' এর বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাদের সাথে যখন মুর্খরা কথা বলতে থাকে, তখন তারা বলে, সালাম। [ সুরা ফুরকান-৬৩ ]

•এবং যারা রাত্রি যাপন করে পালনকর্তার উদ্দেশ্যে সেজদাবনত হয়ে ও দন্ডায়মান হয়ে; [ সুরা ফুরকান-৬৪ ]

•এবং যারা বলে, হে আমার পালনকর্তা, আমাদের কাছ থেকে জাহান্নামের শাস্তি হটিয়ে দাও। নিশ্চয় এর শাস্তি নিশ্চিত বিনাশ; [ সুরা ফুরকান-৬৫ ]

•এবং তারা যখন ব্যয় করে, তখন অযথা ব্যয় করে না, আবার কৃপণতাও করে না এবং তাদের পন্থা হয় এতদুভয়ের মধ্যবর্তী। [ সুরা ফুরকান-৬৭ ]

•যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে দিবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [ সুরা ফুরকান-৭০ ]

•বলুন, আমার পালনকর্তা পরওয়া করেন না যদি তোমরা তাঁকে না ডাক। তোমরা অস্বীকার করেছ, অতএব সত্বর নেমে আসবে অনিবার্য শাস্তি। [ সুরা ফুরকান-৭৭ ]

•আর তাদেরকে ইব্রাহীমের বৃত্তান্ত শুনিয়ে দিন। 

যখন তাঁর পিতাকে এবং তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, তোমরা কিসের এবাদত কর?

তারা বলল, আমরা প্রতিমার পূজা করি এবং সারাদিন এদেরকেই নিষ্ঠার সাথে আঁকড়ে থাকি। 

ইব্রাহীম বললেন, তোমরা যখন আহবান কর, তখন তারা শোনে কি? 

অথবা তারা কি তোমাদের উপকার কিংবা ক্ষতি করতে পারে? 

তারা বললঃ না, তবে আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি, তারাও এরূপই করত। 

ইব্রাহীম বললেন, তোমরা কি তাদের সম্পর্কে ভেবে দেখেছ, যাদের পূঁজা করে আসছ। 

তোমরা এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষেরা ? 

তারা সবাই আমার শত্রু, বিশ্বপালনকর্তা ব্যতীত। [ সুরা শু’য়ারা- ৬৯-৭৭ ]

•যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনিই আমাকে পথপ্রদর্শন করেন, 

তিনিই আমাকে আহার এবং পানীয় দান করেন, 

যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন। 

তিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর তিনিই পুনঃর্জীবন দান করবেন। 

আমি আশা করি তিনিই শেষ বিচারের দিনে আমার ক্রটি-বিচ্যুতি মাফ করবেন। 

হে আমার পালনকর্তা, আমাকে প্রজ্ঞা দান কর এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর,

এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর। 

এবং আমাকে নেয়ামত উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। 

[ সুরা শু’য়ারা- ৭৮-৮৫ ]

•এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না, 

যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না; 

কিন্তু সে ব্যতীত, যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে। 

জান্নাতকে আল্লাহভীরুদের নিকটবর্তী করা হবে। 

এবং বিপথগামীদের সামনে উম্মোচিত করা হবে জাহান্নাম। 

তাদেরকে বলা হবেঃ তারা কোথায়, তোমরা যাদের পূজা করতে। 

আল্লাহর পরিবর্তে? তারা কি তোমাদের সাহায্য করতে পারে, অথবা তারা প্রতিশোধ নিতে পারে? 

অতঃপর তাদেরকে এবং পথভ্রষ্টদেরকে আধোমুখি করে নিক্ষেপ করা হবে জাহান্নামে। [ সুরা শু’য়ারা- ৮৭-৯৪ ]

•যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, আমি তাদের দৃষ্টিতে তাদের কর্মকান্ডকে সুশোভিত করে দিয়েছি। অতএব, তারা উদভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়। [ সুরা নাম’ল -৪ ]

•হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমাকে সামর্থ দাও যাতে আমি তোমার সেই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, যা তুমি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে দান করেছ; এবং যাতে আমি তোমার পছন্দনীয় সৎকর্ম করতে পারি; এবং আমাকে নিজ অনুগ্রহে তোমার সৎকর্মপরায়ন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর। [ সুরা নাম’ল -১৯ ]

•এটা আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ, যাতে তিনি আমাকে পরীক্ষা করেন যে, আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি, না অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, সে নিজের উপকারের জন্যেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং যে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে জানুক যে, আমার পালনকর্তা অভাবমুক্ত মহানুভব। [ সুরা নাম’ল -৪০ ]

•তারা এক চক্রান্ত করেছিল এবং আমিও এক কৌশল করলাম। কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি। [ সুরা নাম’ল -৫০ ]



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম