Voltaren suppository

গুলশান থানা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি পরিচয় দিয়ে একজন অফিসের টিএন্ডটিতে ফোন করলো। বলল ভাই ১২ তারিখ ঢাকা শহরে গুলশান জোনেই একত্রিত হবে ২ লাখ কর্মী। ওদেরকে গ্লুকোজ খাওানর দায়িত্ব আপনার ভাগে পড়েছে। আপনি কাউকে দিয়ে ৫ লাখ টাকা উঠিয়ে রাখেন। সবুজ ভাই নিজে এসে কালকে টাকাটা নিয়ে যাবে আপনার হাত থেকে। আমি বললাম শুনেন শুনেনহাই কমান্ড কে বলেন যে আমি গ্লুকোজ’ দিব নাহ আমার গ্লুকোজ ফান্ড শেষ ...অন্য কিছু আমার ভাগে ফেলানও যায় নাহ?’। আমি বলতে থাকলাম, ‘এক কাজ করেনঐ দিন অনেক রোদ পড়বে আর এর মধ্যে গ্লুকোজ খেয়ে কর্মী ভাইদের আচমকা ঠাণ্ডা লেগে জ্বর এসে যেতে পারে... আমি বরং এক কাজ করিআপনাকে কিছু জ্বরের সাপোজিটর স্পন্সর করি। উনি সাপোজিটর’ শব্দটা ধরতে পারলেন নাহ। আমাকে জিজ্ঞেস করলেন এটা কি জ্বরের ক্যাপসুল নাকি?’ আমি বললাম জী

উনি বললেন বানান বলেন... আমি বললাম লেখেন, ‘voltaren suppository’... জ্বরের তড়ি মহা ঔষুধ। উনি বললেন আচ্ছা আচ্ছা তাহলে হাই কমান্ডকে জিজ্ঞেস করে আপনাকে এখনই জানাচ্ছি... তো আপনি আপনার মোবাইল নম্বরটা দেন তো। আমি ঠাণ্ডা মাথায় আমার কন্টাক্ট লিস্ট ঘেঁটে অন্য একজনের নম্বরটা দিয়ে সালাম দিয়ে ফোন রেখে দিলাম।

**(উনি যদি হাই কমান্ডের থাপ্পড় খেয়ে আমার দাওয়া মোবাইল নম্বরে আবার ফোনও করেন তাহলেও আরেকটা থাপ্পড় খাবেন। কারন আমি নাম্বার দিয়ে দিয়েছি অতিরিক্ত-আইজিপি আরিফুল সাহেবের। যার বাড়ি কিনা গোপালগঞ্জে!)

[NB: মূল লেখক Arif R Hossain ভাই। উনার ওয়েবসাইট  http://arifrhossain.com ডাউন। তাই আমি ওয়েব আর্কাইভ থেকে কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যাতে করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও লেখাগুলা পড়তে পারে। Wednesday, 07 November 2012]


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম