তিনি একজন ডিরেক্টর, সিনেমার ডিরেক্টর। অনেকদিন থেকেই আমার সাথে চা খেতে আসতে চাচ্ছেন কিন্তু উনাকে চা খাওানর সময় দিতে পাচ্ছিলাম নাহ। গত সপ্তাহে জোর করেই চা খেতে এসে পরলেন। সাদা শুট আর সাদা জুতো দেখেই বুঝে গেছি তার দৌড় কতদুর।
ইনিয়ে বিনিয়ে সে তার আসল কথায় আসলো। তার মাথায় নাকি ‘লাখ টাকা দামের একটা অ্যাড’ এর আইডিয়া এসেছে। সে এই আইডিয়া আমি ছাড়া অন্য কাউকে দিতে চাচ্ছে নাহ। এই আইডিয়া নিয়ে অ্যাড বানালে নাকি আমি এক লাফে ‘সাউথ ইস্ট এশিয়ার এক নম্বর বিল্ডার কোম্পানি’ হয়ে যাব।
তার সাদা জুতার দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘বলে ফেলেন আপনার আইডিয়া’
সে বলা শুরু করলো, দেখেন আমি ‘টিয়া পাখি’ নিয়ে অ্যাড বানাবো। বাসায় ভাড়া থাকে যে সব ‘ভাড়াটিয়া’ ওদেরকে আমি খাঁচার টিয়া পাখির সাথে তুলনা করবো। আমি বললাম ‘ইন্টারেস্টিং’
আমি মনে মনে বললাম আসলেই তো ইন্টারেস্টিং... সাদা জুতা পরে আসলেও, ব্যাটার মাথায় জিনিষ আছে... কিছু হলেও আছে!
সে হাত নেড়ে নেড়ে বুঝাল অ্যাডটা কিভাবে বানাবে। ডিরেক্টর সাহেব তো তাই উনি কনসেপ্ট থেকে অ্যাড মেইকিং এর দিকে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু আমি শুনতে চাচ্ছি কনসেপ্টটা... উনি কনসেপ্ট আর বলে নাহ। কি ভাবে আকাশের উড়া টিয়া পাখি কে খাচায় ধুকাবে এটা নিয়ে সে হাত নেড়ে নেড়ে বুঝাচ্ছেন।
আমি বললাম, ডিরেক্টর সাহেব তো আকাশের উড়া টিয়া পাখিকে কিভাবে খাঁচায় ঢোকাবেন? আই মিন, এই শুট টা কিভাবে করবেন? তিনি খুব মজা পেলেন... বললেন, আচ্ছা আপনাকে সিক্রেটটা বলেই ফেলি। করবো কি, ক্যামেরা অন করে খাঁচার ভিতরে আগে থেকেই টিয়া পাখি থাকবে। দূর সাদা সুতা দিয়ে আস্তে করে টেনে খাঁচার দরজাটা খুলে দিব... টিয়া দরজা খোলা পেয়ে দিবে আকাসে উড়াল। ব্যাসস শট পেয়ে গেলাম। এখন এই শটটাকে রিউইন্ড (rewind) করলেই হয়ে গেলো। তখন মানুষ দেখবে আকাশ থেকে উড়ে একটা টিয়ে পাখি এসে খালি খাচায় ঢুকে গেলো আর দরজাটা আসতে করে বন্ধ হয়ে গেলো। কি বুঝলেন আরিফ সাহেব? আর এই শট এর সাথে সাথেই আপনার কোম্পানির লোগো যাবে। ‘ভাড়াটিয়া বা খাঁচার টিয়া হয়ে আর কতদিন... এখন দরকার নিজের একটা বাড়ি’।
কেমন লাগলো বস?
আমি বললাম, আচ্ছা রিউইন্ড করলে তো দেখা যাবে টিয়ে পশ্চাতদেশ আগে দিয়ে খাঁচায় ঢুকছে। এটা কেমন হল না? আমরা বাসায় ঢোকার আগে কি পশ্চাতদেশ আগে দিয়ে দরজা দিয়ে ঢুকি? হোকনা সেটা ভাড়া বাসা… তবুও তো শালীন ভাবেই ঢুকি বাসায়… নাকি?
ডিরেক্টর সাহেব গম্ভীর হয়ে হেলাম দিয়ে সোফায় বসলেন... বিরাট চিন্তার বিষয়... বিরাটট
বিড়বিড় করে উনি কি যেন বললেন। পুরো বাক্যটা বুঝলাম নাহ তবে একটা শব্দ বুঝতে পেড়েছি... সেটা হল ‘হলিউড’।
[NB: আরিফ ভাইয়ের ওয়েবসাইট (arifrhossain.com) ডাউন। উনার লেখাগুলা আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। তাই ওয়েব আর্কাইভ থেকে লেখাগুলো কপি করে এখানে রেখে দিচ্ছি, যাতে করে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম লেখাগুলো পড়তে পারে। Wednesday, 07 November 2012]
ইনিয়ে বিনিয়ে সে তার আসল কথায় আসলো। তার মাথায় নাকি ‘লাখ টাকা দামের একটা অ্যাড’ এর আইডিয়া এসেছে। সে এই আইডিয়া আমি ছাড়া অন্য কাউকে দিতে চাচ্ছে নাহ। এই আইডিয়া নিয়ে অ্যাড বানালে নাকি আমি এক লাফে ‘সাউথ ইস্ট এশিয়ার এক নম্বর বিল্ডার কোম্পানি’ হয়ে যাব।
তার সাদা জুতার দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘বলে ফেলেন আপনার আইডিয়া’
সে বলা শুরু করলো, দেখেন আমি ‘টিয়া পাখি’ নিয়ে অ্যাড বানাবো। বাসায় ভাড়া থাকে যে সব ‘ভাড়াটিয়া’ ওদেরকে আমি খাঁচার টিয়া পাখির সাথে তুলনা করবো। আমি বললাম ‘ইন্টারেস্টিং’
আমি মনে মনে বললাম আসলেই তো ইন্টারেস্টিং... সাদা জুতা পরে আসলেও, ব্যাটার মাথায় জিনিষ আছে... কিছু হলেও আছে!
সে হাত নেড়ে নেড়ে বুঝাল অ্যাডটা কিভাবে বানাবে। ডিরেক্টর সাহেব তো তাই উনি কনসেপ্ট থেকে অ্যাড মেইকিং এর দিকে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু আমি শুনতে চাচ্ছি কনসেপ্টটা... উনি কনসেপ্ট আর বলে নাহ। কি ভাবে আকাশের উড়া টিয়া পাখি কে খাচায় ধুকাবে এটা নিয়ে সে হাত নেড়ে নেড়ে বুঝাচ্ছেন।
আমি বললাম, ডিরেক্টর সাহেব তো আকাশের উড়া টিয়া পাখিকে কিভাবে খাঁচায় ঢোকাবেন? আই মিন, এই শুট টা কিভাবে করবেন? তিনি খুব মজা পেলেন... বললেন, আচ্ছা আপনাকে সিক্রেটটা বলেই ফেলি। করবো কি, ক্যামেরা অন করে খাঁচার ভিতরে আগে থেকেই টিয়া পাখি থাকবে। দূর সাদা সুতা দিয়ে আস্তে করে টেনে খাঁচার দরজাটা খুলে দিব... টিয়া দরজা খোলা পেয়ে দিবে আকাসে উড়াল। ব্যাসস শট পেয়ে গেলাম। এখন এই শটটাকে রিউইন্ড (rewind) করলেই হয়ে গেলো। তখন মানুষ দেখবে আকাশ থেকে উড়ে একটা টিয়ে পাখি এসে খালি খাচায় ঢুকে গেলো আর দরজাটা আসতে করে বন্ধ হয়ে গেলো। কি বুঝলেন আরিফ সাহেব? আর এই শট এর সাথে সাথেই আপনার কোম্পানির লোগো যাবে। ‘ভাড়াটিয়া বা খাঁচার টিয়া হয়ে আর কতদিন... এখন দরকার নিজের একটা বাড়ি’।
কেমন লাগলো বস?
আমি বললাম, আচ্ছা রিউইন্ড করলে তো দেখা যাবে টিয়ে পশ্চাতদেশ আগে দিয়ে খাঁচায় ঢুকছে। এটা কেমন হল না? আমরা বাসায় ঢোকার আগে কি পশ্চাতদেশ আগে দিয়ে দরজা দিয়ে ঢুকি? হোকনা সেটা ভাড়া বাসা… তবুও তো শালীন ভাবেই ঢুকি বাসায়… নাকি?
ডিরেক্টর সাহেব গম্ভীর হয়ে হেলাম দিয়ে সোফায় বসলেন... বিরাট চিন্তার বিষয়... বিরাটট
বিড়বিড় করে উনি কি যেন বললেন। পুরো বাক্যটা বুঝলাম নাহ তবে একটা শব্দ বুঝতে পেড়েছি... সেটা হল ‘হলিউড’।
[NB: আরিফ ভাইয়ের ওয়েবসাইট (arifrhossain.com) ডাউন। উনার লেখাগুলা আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। তাই ওয়েব আর্কাইভ থেকে লেখাগুলো কপি করে এখানে রেখে দিচ্ছি, যাতে করে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম লেখাগুলো পড়তে পারে। Wednesday, 07 November 2012]
