ঘুষ কাহিনী ২-২

“আমার নাম গিনিজ ওয়ার্ল্ড বুক এ উঠা উচিত”। কারন, আমি বাংলাদেশের মত জাগায়, এক দিনে, ২ জন ঘুসখোর কে ধাপ্পা দিতে সক্ষম হয়েছি। এবার অবশ্য ১০০% পরিত্রাণ পাইনি... ৪২% পেয়েছি; কম কি!!

ট্র্যাফিক পুলিশ সাহেব ৫০০ টাকার নিচে ঘুস নেবেন না। আমার পকেটে আছে ৫০০ টাকার কয়েকটা নোট।

হঠাৎ দেখলাম গাড়ির ড্রাইভিং সিটের পাশে, বাচ্চাদের ভ্যানিটি ব্যাগের মত একটা ছোট ব্যাগে কিছু ভাংতি টাকা। ৫ টাকা.. ২ টাকা.. ১০ টাকা এরকম

অনেকগুলো নোট। মনে পড়ল, আমার বউ নোটগুলো এক সময় দিয়েছিল সিগন্যালে জেনুইন ফকির পেলে দান করার জন্য।

আমি ধৈর্য নিয়ে গুনতে বসলাম... কাটায় কাটায় এক বাণ্ডিল নোট মিলে ২৯০ টাকা আছে।

আমি মুডের উপর গাড়ি থেকে নেমে ট্র্যাফিক কে দিলাম। এখন ট্র্যাফিক কে ঘুস দাওয়ার নিওমই হল যে, ব্লু-বুকের ভিতরে টাকা ঢুকিয়ে উনার হাতে দাওয়া। আমার এত বড় বাণ্ডিল আর ব্লু-বুকে আটে না। আমি তাও কস্ট করে আটিয়ে, ফোলা ব্লু-বুকটাই উনার হাতে দিলাম। উনি চোখ বড় করে বলে, “কি..এইটা কি?”

আমি ফিসফিস করে বললাম, "৫০০ টাকা আছে এখানে.. বড় নোট নাই"

উনি অবাক হয়ে বাণ্ডিলটা পেন্টের পকেটে ঢুকালেন।

উনিও, উনার ফোলা পেন্টের দিকে তাকিয়ে রইলেন... আমিও, তাকিয়ে রইলাম।

আমি বললাম, "গুনে নেবেন নাকি একটু?"

[NB: মূল লেখক Arif R Hossain ভাই। উনার ওয়েবসাইট  http://arifrhossain.com ডাউন। তাই আমি ওয়েব আর্কাইভ থেকে কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যাতে করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও লেখাগুলা পড়তে পারে। Wednesday, 07 November 2012]


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম