একজন ইনবক্স করল, ‘আরিফ ভাইয়া... আসছে টি-২০ ওয়ার্ল্ড কাপে, বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের উপর একটা ডকুমেন্টারি করতে আমি আগামি ২০শে সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা যাচ্ছি। ইতিমধ্যে আসা যাওয়ার টিকেট, স্টেডিয়ামের টিকেট, হোটেলের রুম, সবকিছু করে ফেলেছি... সবই নিজের জমানো টাকা থেকে খরচ করেছি... দোয়া করবেন। এখন একটা সমস্যায় পরেছি; বিসিবি থেকে এখনও একটা ‘মিডিয়া কার্ড’ মেনেজ করতে পারিনি। ওদের জন্য এটা মেনেজ করে দেয়া কোনও ব্যাপারই না কিন্তু তাও পারছি না। চিঠি দিয়েছি... ইমেইল করেছি... ফেক্স করেছি... একমনকি দরখাস্ত হাতে করে নিয়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ওদের অফিসে বসে ছিলাম, তাও কোনও ভাবেইন কিছু মেনেজ করতে পারলাম নাহ। এখন মিডিয়া কার্ড ছাড়া আমি লিগালি মাঠ থেকে কোনও ছবি বা ক্লিপ তুলতে পারব না। আর ৮ দিন পর ফ্লাইট কি করব বুঝতে পারছি না। ভাইয়া আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের কত বড় ফ্যান আপনার ধারনা নেই। আমি গত তিন বছরে বাংলাদেশের একটা খেলাও মিস করিনি। গত বিশকাপে আমি প্রত্যেকটা খেলা স্টেডিয়ামে যেয়ে দেখেছি। এতো কষ্ট করে সব কিছু মেনেজ করলাম আর এই ছোট একটা কার্ডের জন্য যদি ডকুমেন্টারিটা না করতে পারি... তাহলে ভাইয়া আমি মরেই যাব। আপনি একটু সাহায্য করেন প্লিজ। আপনার পরিচিত বিসিবি’র উদ্ধতন কোনও কর্মকর্তা থেকে থাকলে একটু কষ্ট করে আমাকে কার্ডটা মেনেজ করে দিবেন কি? আমি জানি আপনি পারবেন!!!’
এই সদ্য বিবাহিত পাগল ছেলে নিজের পকেটের টাকা দিয়ে সব মেনেজ করে ফেলেছে আর এই ছোট্ট কার্ডের জন্য এখন কিনা এভাবে দৌড়াচ্ছে!
আমি উত্তর দিলাম, ‘আমাকে একটা দিন সময় দাও... কার্ডটা মেনেজ করার একটা লিঙ্ক বের করার ট্রাই করি। যদি কালকের মধ্যে তোমাকে কিছু না জানাতে পারি, তাহলে পরশু তুমি বিসিবি অফিসে যেয়ে, সামনে যে কর্মকর্তা পরবে, ওকে কষে একটা চড় মেরে আসবা... চোখের সামনে যদি লোটা সাহেবও পরে, তাহলেও পিছপা হবা না। পারবে না?
“কিন্তু কেনও ভাইয়া?”
‘পারবে কি না বলও? থাপ্পড় মারাটা একটা কোড সাইন’
“আপনি বললে অবশ্যই পারব”
‘ওকে তাহলে... আমি চেষ্টা করব কালকের মধ্যে তোমাকে একটা ব্যাবস্থা করে দেয়ার... না পারলে পরশু তুমি বিসিবি অফিসে যেয়ে থাবড়া থাবড়ি শুরু করে দিও। বাকিটা আমি দেখবো! এতে যদি তোমার জেল ও হয়ে যায়, আমি তোমার পিছে বাংলাদেশের বেস্ট উকিল লাগাবো। আমি বেঁচে থাকতে তোমার কিছু হতে দিব না। কি পারবে তো?
“ভাইয়া আমি পারবো... কারন আপনার উপর আমার বিশ্বাস আছে”
গুড... ঘুম দাও... টাটা!
--
*পরশু সে থাবড়া থাবড়ি করতে যাবে... আদতে সে থাবড়াতে পারবে কিনা জানি না! কিন্তু সে ওখানে যাবার আগেই আমি যথাসাধ্য চেস্টা করছি একটা লিঙ্ক বের করার। আপনাদের কারও কোনও লিঙ্ক থেকে থাকলে প্লিজ ছেলেটিকে সাহায্য করুন।
আমি সাধারনত, ‘ইনবক্স নিয়ে’ যে পোস্টগুলো দেই সেখানে মেসেজ দাতার নাম উল্লেখ করি না। কিন্তু আজকে করতে বাধ্য হচ্ছি!
Lets try to help him... his name is Ahmed Istiaque Himel :/
NB: মূল লেখক Arif R Hossain ভাই। উনার ওয়েবসাইট http://arifrhossain.com ডাউন। তাই আমি ওয়েব আর্কাইভ থেকে কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যাতে করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও লেখাগুলা পড়তে পারে। ]
এই সদ্য বিবাহিত পাগল ছেলে নিজের পকেটের টাকা দিয়ে সব মেনেজ করে ফেলেছে আর এই ছোট্ট কার্ডের জন্য এখন কিনা এভাবে দৌড়াচ্ছে!
আমি উত্তর দিলাম, ‘আমাকে একটা দিন সময় দাও... কার্ডটা মেনেজ করার একটা লিঙ্ক বের করার ট্রাই করি। যদি কালকের মধ্যে তোমাকে কিছু না জানাতে পারি, তাহলে পরশু তুমি বিসিবি অফিসে যেয়ে, সামনে যে কর্মকর্তা পরবে, ওকে কষে একটা চড় মেরে আসবা... চোখের সামনে যদি লোটা সাহেবও পরে, তাহলেও পিছপা হবা না। পারবে না?
“কিন্তু কেনও ভাইয়া?”
‘পারবে কি না বলও? থাপ্পড় মারাটা একটা কোড সাইন’
“আপনি বললে অবশ্যই পারব”
‘ওকে তাহলে... আমি চেষ্টা করব কালকের মধ্যে তোমাকে একটা ব্যাবস্থা করে দেয়ার... না পারলে পরশু তুমি বিসিবি অফিসে যেয়ে থাবড়া থাবড়ি শুরু করে দিও। বাকিটা আমি দেখবো! এতে যদি তোমার জেল ও হয়ে যায়, আমি তোমার পিছে বাংলাদেশের বেস্ট উকিল লাগাবো। আমি বেঁচে থাকতে তোমার কিছু হতে দিব না। কি পারবে তো?
“ভাইয়া আমি পারবো... কারন আপনার উপর আমার বিশ্বাস আছে”
গুড... ঘুম দাও... টাটা!
--
*পরশু সে থাবড়া থাবড়ি করতে যাবে... আদতে সে থাবড়াতে পারবে কিনা জানি না! কিন্তু সে ওখানে যাবার আগেই আমি যথাসাধ্য চেস্টা করছি একটা লিঙ্ক বের করার। আপনাদের কারও কোনও লিঙ্ক থেকে থাকলে প্লিজ ছেলেটিকে সাহায্য করুন।
আমি সাধারনত, ‘ইনবক্স নিয়ে’ যে পোস্টগুলো দেই সেখানে মেসেজ দাতার নাম উল্লেখ করি না। কিন্তু আজকে করতে বাধ্য হচ্ছি!
Lets try to help him... his name is Ahmed Istiaque Himel :/
NB: মূল লেখক Arif R Hossain ভাই। উনার ওয়েবসাইট http://arifrhossain.com ডাউন। তাই আমি ওয়েব আর্কাইভ থেকে কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যাতে করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও লেখাগুলা পড়তে পারে। ]
