৪ দিন আগে একজন ইনবক্স করে জিজ্ঞেস করলো, “আরিফ ভাই, একটা বিষয়ের সমাধান দিবেন কি!... আমি একজন মোটরসাইকেল আরোহী। আমার লাইসেন্স, ফিটনেস ইত্যাদি পেপারস সব কিছুই ঠিক আছে, হেলমেট পড়েও বাইক চালাই। কিন্তু ঢাকা শহরের প্রতিটা চেক পয়েন্টে পুলিশ আমার বাইক থামায়। ১৫/২০ মিনিট ধরে কুতায় কুতায় কাগজপত্র দেখে তারপর ছেড়ে দেয়। এমন একটা দিন যায় নায় যে, দিনে ৫ টার কম পুলিশ চেক পয়েন্টে আমাকে থামতে হয়েছে। আপনার কি পরামর্শ?”
৩ দিন আগে আমি উত্তর দিলাম, “একটা বুদ্ধি ট্রাই করে দেখতে পারেন; সামনে যখন কোনও পুলিশ চেকপয়েন্ট চোখে পড়বে, তখন ওরা হাত তুলে আপনাকে থামানর আগেই আপনি ইন্ডিকেটর দিয়ে আস্তে করে ওখানে থামবেন... থেমে আপনি পুলিশ ভাইদের যে কোনও একটা এড্রেস জিজ্ঞেস করবেন। কঠিন এড্রেস জিজ্ঞেস করবেন নাহ, কিছু বেহুদা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবেন, যেমন, ‘এই দিক দিয়ে কি মৌচাক যাওয়া যায়’... বা... ‘ডানে গেলে কি অমুক হাসপাতাল এ যাওয়া যাবে’? ইত্যাদি... আবার বেশী তাড়াহুড়ায় থাকলে জিজ্ঞেস করতে পারেন যে ‘নিকটস্থ থানায় যাওয়ার তাড়াতাড়ি উপায় কি’... এরকম কিছু। এই বুদ্ধি ট্রাই করে দেখেন কাজে দিবে। কারন, বাঙালী পুলিশদের স্বভাবই হল মানুষকে থামায়ে প্রশ্ন করা... কিন্তু, থেমে যাওয়া মানুষ হেল্প চাইলে/প্রশ্ন করতে আসলে, এরা ওদেরকে ভাগানোর তালে থাকে।
আজকে উনার ইনবক্স পেলাম, বলল “আরিফ ভাই... ইউ আর গ্রেট”
আমি মনে মনে বললাম, দুই দিন পরে বুঝবি আসল মজা যখন এক পুলিশের কাছে ২ দিন প্রশ্ন করে ধরাটা খাবি। ধরা তো খাবিই ব্যাটা... কারন এদেশে, ‘জনগণ-পুলিশে’র রেসিও হল ১৫০০:১ । যতদিন পারো এড্রেস জিজ্ঞেস করতে করতে চালিয়ে যাও :p
(আমি আস্তে করে মেসেজ ডিটেইল ডিলিট করে ওকে আন ফ্রেন্ড করে দিলাম... কারন, পুলিশ সব কিছুই সহ্য করে কিন্তু ফাইযলামি সহ্য করে নাহ... যেদিন ধরা পড়বে ওই দিন ডিম এর ঠেলায় না সে আমার নাম বলে দেয় :p)
[NB: আরিফ ভাইয়ের ওয়েবসাইট (arifrhossain.com) ডাউন। আমি জানিনা উনার এই সাইটটা কে ম্যানেজ করে। এটা ডাউন রাখা উচিত হয়নি। উনার লেখাগুলা আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। তাই ওয়েব আর্কাইভ থেকে লেখাগুলো কপি করে এখানে রেখে দিচ্ছি, যাতে করে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম লেখাগুলো পড়তে পারে। Wednesday, 14 November 2012]
৩ দিন আগে আমি উত্তর দিলাম, “একটা বুদ্ধি ট্রাই করে দেখতে পারেন; সামনে যখন কোনও পুলিশ চেকপয়েন্ট চোখে পড়বে, তখন ওরা হাত তুলে আপনাকে থামানর আগেই আপনি ইন্ডিকেটর দিয়ে আস্তে করে ওখানে থামবেন... থেমে আপনি পুলিশ ভাইদের যে কোনও একটা এড্রেস জিজ্ঞেস করবেন। কঠিন এড্রেস জিজ্ঞেস করবেন নাহ, কিছু বেহুদা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবেন, যেমন, ‘এই দিক দিয়ে কি মৌচাক যাওয়া যায়’... বা... ‘ডানে গেলে কি অমুক হাসপাতাল এ যাওয়া যাবে’? ইত্যাদি... আবার বেশী তাড়াহুড়ায় থাকলে জিজ্ঞেস করতে পারেন যে ‘নিকটস্থ থানায় যাওয়ার তাড়াতাড়ি উপায় কি’... এরকম কিছু। এই বুদ্ধি ট্রাই করে দেখেন কাজে দিবে। কারন, বাঙালী পুলিশদের স্বভাবই হল মানুষকে থামায়ে প্রশ্ন করা... কিন্তু, থেমে যাওয়া মানুষ হেল্প চাইলে/প্রশ্ন করতে আসলে, এরা ওদেরকে ভাগানোর তালে থাকে।
আজকে উনার ইনবক্স পেলাম, বলল “আরিফ ভাই... ইউ আর গ্রেট”
আমি মনে মনে বললাম, দুই দিন পরে বুঝবি আসল মজা যখন এক পুলিশের কাছে ২ দিন প্রশ্ন করে ধরাটা খাবি। ধরা তো খাবিই ব্যাটা... কারন এদেশে, ‘জনগণ-পুলিশে’র রেসিও হল ১৫০০:১ । যতদিন পারো এড্রেস জিজ্ঞেস করতে করতে চালিয়ে যাও :p
(আমি আস্তে করে মেসেজ ডিটেইল ডিলিট করে ওকে আন ফ্রেন্ড করে দিলাম... কারন, পুলিশ সব কিছুই সহ্য করে কিন্তু ফাইযলামি সহ্য করে নাহ... যেদিন ধরা পড়বে ওই দিন ডিম এর ঠেলায় না সে আমার নাম বলে দেয় :p)
[NB: আরিফ ভাইয়ের ওয়েবসাইট (arifrhossain.com) ডাউন। আমি জানিনা উনার এই সাইটটা কে ম্যানেজ করে। এটা ডাউন রাখা উচিত হয়নি। উনার লেখাগুলা আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। তাই ওয়েব আর্কাইভ থেকে লেখাগুলো কপি করে এখানে রেখে দিচ্ছি, যাতে করে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম লেখাগুলো পড়তে পারে। Wednesday, 14 November 2012]
