গতকালকেই ল্যাভেন্ডার থেকে কিছু চকলেট কিনে নিয়ে আসি... সুন্দর একটা প্লেটে গুনেগুনে ঠিক ১২টি চকলেট সাজিয়ে রেখেছিলাম আমার অফিসের রুমে; মাঝে মাঝে আমার মেয়ে আমার অফিসে আসে তাই এই উদ্যোগ। আজ সকালে এসে দেখি ৫ চকলেট নেই; বিষয়টা খুব একটা পাত্তা দিতাম না কিন্তু সেই মুহূর্তে পিওন রুমে চা নিয়ে আসায় ওকে হালকা ভাবে জিজ্ঞেস করায় সে ভারি উত্তর দিলো যে ‘আমার এখন পান খাওার বয়স... চকলেট খামু কোন দুঃখে???’
আমি বললাম, ‘আচ্ছা যাও’
একটু পড়ে আরেক পিওন এসে বলে ‘স্যার, আপনার চকলেট কিন্তু উনিই খাইসে’। কালকে আপনি বাসায় যাওয়ার পর আমরা যখন আপনার রুম গুছাচ্ছিলাম তখন সে টপ করে আপনার একটা চকলেট মুখে দিয়ে বলে ‘ঐ পুচকা...চকলেট খাবি’? আমি বললাম, আপনার সাহস তো কম নাহ আপনি স্যারের চকলেটে হাত দিসেন। উনি উত্তরে বলল যে, স্যারের আর কাজ কাম নাই যে উনি চকলেটের হিসাব কিতাব বগলদাবা করে বাসায় নিয়ে যাইব। স্যার, আমার সামনেই মুরুব্বী ৪/৫ টা চকলেট খাইসে। বৃহস্পতিবার হবার কারনেই মনে হয় আমিও খুব হালকা মুডে ছিলাম। আমি মুরুব্বীকে ডেকে বললাম আপনার ব্লাড টেস্ট করতে হবে। যদি ব্লাডে ‘চকও ল্যাভেন্ডার সুগার’ পাওয়া যায় তাহলে আপনিই দোষী। মুরুব্বী আমার মুখ থেকে এরকম কথা (এবং এরকম টেস্টের নাম) জীবনে শুনে নায় মনে হয়। বেচারার চেহারা হয়েছে সেইরকম দেখার মত। ও কিছু বলার আগেই আমি আমার আরেক পিওন সহ গাড়িতে করে মুরুব্বীকে পাঠিয়ে দিলাম ল্যাব এইডের প্যাথলজিতে ‘রেন্ডম সুগার’ চেকের জন্য। ঘুরে আসুক...দেখা যাক। হিহিহি... Thursday rocks
[NB: মূল লেখক Arif R Hossain ভাই। উনার ওয়েবসাইট
http://arifrhossain.com ডাউন। তাই আমি ওয়েব আর্কাইভ থেকে কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যাতে করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও লেখাগুলা পড়তে পারে। Wednesday, 07 November 2012]