০১
আমি যখন কলেজে পড়তাম তখন আমার এক ইয়ার জুনিয়র ফাতেমা নামে একটা মেয়ে ছিল। তার পিতা মারা গেছে অনেক আগে। মায়ের সাথে সে নানা বাড়ী থেকে বড় হয়েছিল। তার আর কোন ভাই-বোন নাই। তার নানার মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট ছিল, কিন্ত আর্থিক অবস্থা খুবই অসচ্ছল। তার মায়ের শরীরের অবস্থাও ভাল ছিল না। প্রায়ই বিভিন্ন রোগে পড়ে থাকত।
এক ছেলের সাথে তার প্রেম ছিল। সে প্রেম সকালে ভাঙত, দুপুরে গড়তো আবার রাতে ভেঙ্গে যেত। এভাবেই চলতেছিল। আমার সাথে একই প্রাইভেটে সে পড়ত। কতদিন তাকে দেখেছি ছেলেটার সাথে কথা বলে আসার পর কাঁদতে। কাঁদলেই আমরা বুঝতে পারতাম - একটু আগে মনে হয় ব্রেকাপ করে এসেছে।
ইন্টার পরীক্ষার দুই বছর পর একদিন তার সাথে রাস্তায় দেখা। জানালো যে ছেলেটার সাথে তার প্রায় দুই বছর যাবত যোগাযোগ হয়না। আমি এটাকে স্বাভাবিক ভাবেই নিলাম। একটা অসহায় মেয়েকে (সাথে তার অসুস্থ্য মা) খুব কম ছেলেই আছে যে গ্রহণ করতে চাইবে। তবে সে জানালো সে তার নানার মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট দিয়ে প্রাইমারীতে জবের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এরপর বছর দুই চলে গেল। একদিন শুনলাম তার প্রাইমারীতে জব হয়েছে এবং জব হওয়ার পর ছেলেটা আবার তার কাছে ফিরে এসেছে। আরো কিছুদিন পর শুনলাম তারা বিয়েও করে ফেলেছে। এখন তারা মনে হয় সুখেই আছে।
০২ এই ফাতেমার সাথে আমার পরিচয় বেশি দিনের না। এই মেয়েটা এখন অনার্সে পড়ে। তার ছোট ভাই ইন্টারে পড়ে। তার পিতার ক্রোকারিজের দোকান আছে।
এক বছর আগে তার মা ব্লাড-ক্যান্সারে মারা যায়। তার পিতা আবার বিয়ে করে। সৎ মা তাদের কিভাবে দেখে জানিনা। আমি যতদূর শুনলাম নতুন বিয়ে করার পর তাদের পিতা তাদের আগের মত সেই ভাবে দেখ-ভাল করে না।
সে এবং তার আলাদা ভাই বাসা ভাড়া করে কলেজের পাশেই থাকে। দৈনন্দিন খরচ মেটাতে সে বিভিন্ন স্কুল/কিন্ডারগার্টেনে পার্ট টাইম শিক্ষকতা করে কোন রকমে দিন পার করছে এবং পড়া-শোনা চালিয়ে যাচ্ছে। সে খুবই হার্ড-ওয়ার্কার এবং বাস্তববাদী মনে হল। এখনকার ছেলে-মেয়েদের মত রং-ঢং এড়িয়ে চলে। মনে হয় দৈনন্দিন জীবন চালাতে সংগ্রাম করতে গিয়ে সে জীবনের আসল রুপ দেখে ফেলেছে। তাই বাইরের কৃত্রিম রং তাকে আর সেই ভাবে টানেনা। সে স্বপ্ন দেখে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের।
০৩ এই ফাতেমার সাথে আমার কখনো দেখা হয়নি। ছবিতে দেখেছিলাম এবং ভাল মনে হয়েছিল। তাই তার পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম।
কিন্ত তার পরিবার আমার প্রস্তাবে অনাগ্রহ প্রকাশ করে। মনে হয় আমি বিসিএস/টিচিএস বা সেই মাপের কেউ হলে রাজী হত :P কিন্ত আমিতো বিসিএস না, তবে সেই মাপের প্রফেশনাল কামলা (দিন মজুর)।
০৪ স্বামীর সাথে স্ত্রীর ঝগড়া একটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্ত এই ফাতেমার ঝগড়া সেই রকম। সমস্যা হচ্ছে যে- এই ফাতেমার স্বামী একটু দিল খোলা টাইপের ও সাদা মনের মানুষ। ফলে তার স্বামীর আরো একটা বড় ভাই থাকা সত্ত্বেও তার শ্বশুর-শ্বাশুড়ী, ননদ-দেবর, আত্নীয়-স্বজন সবাইকে তার স্বামী দেখা-শোনা করে।
এটা নিয়ে সে প্রায়ই তার স্বামীর সাথে ঝগড়া করে। সে স্বামীকে প্রেসার দেয় বাড়ীতে না থেকে বাইরে কোথাও বাসা নিতে। কিন্ত তার স্বামী তার কথায় অনড়, সে বাড়ীতেই থাকবে এবং সবাইকে এইভাবেই দেখে-শুনে রাখবে। কিছুদিন আগে শুনি ফাতেমা তার স্বামীর সাথে ঝগড়া করে পিতার বাসায় না এসে তার এক আত্নীয়ের বাড়ীতে চলে যায়। সবাই সারাদিন অনেক খোজা-খুজি করলো। অবশেষে সে রাত্রি ফোন দিয়ে জানালো সেই অমুক জায়গায় আত্নীয়ের বাড়ীতে আছি।
এরকম আরো কিছু আছে। নেক্সট টাইমে ইনশাল্লাহ দেখা যাবে।
এক ছেলের সাথে তার প্রেম ছিল। সে প্রেম সকালে ভাঙত, দুপুরে গড়তো আবার রাতে ভেঙ্গে যেত। এভাবেই চলতেছিল। আমার সাথে একই প্রাইভেটে সে পড়ত। কতদিন তাকে দেখেছি ছেলেটার সাথে কথা বলে আসার পর কাঁদতে। কাঁদলেই আমরা বুঝতে পারতাম - একটু আগে মনে হয় ব্রেকাপ করে এসেছে।
ইন্টার পরীক্ষার দুই বছর পর একদিন তার সাথে রাস্তায় দেখা। জানালো যে ছেলেটার সাথে তার প্রায় দুই বছর যাবত যোগাযোগ হয়না। আমি এটাকে স্বাভাবিক ভাবেই নিলাম। একটা অসহায় মেয়েকে (সাথে তার অসুস্থ্য মা) খুব কম ছেলেই আছে যে গ্রহণ করতে চাইবে। তবে সে জানালো সে তার নানার মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট দিয়ে প্রাইমারীতে জবের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এরপর বছর দুই চলে গেল। একদিন শুনলাম তার প্রাইমারীতে জব হয়েছে এবং জব হওয়ার পর ছেলেটা আবার তার কাছে ফিরে এসেছে। আরো কিছুদিন পর শুনলাম তারা বিয়েও করে ফেলেছে। এখন তারা মনে হয় সুখেই আছে।
০২ এই ফাতেমার সাথে আমার পরিচয় বেশি দিনের না। এই মেয়েটা এখন অনার্সে পড়ে। তার ছোট ভাই ইন্টারে পড়ে। তার পিতার ক্রোকারিজের দোকান আছে।
এক বছর আগে তার মা ব্লাড-ক্যান্সারে মারা যায়। তার পিতা আবার বিয়ে করে। সৎ মা তাদের কিভাবে দেখে জানিনা। আমি যতদূর শুনলাম নতুন বিয়ে করার পর তাদের পিতা তাদের আগের মত সেই ভাবে দেখ-ভাল করে না।
সে এবং তার আলাদা ভাই বাসা ভাড়া করে কলেজের পাশেই থাকে। দৈনন্দিন খরচ মেটাতে সে বিভিন্ন স্কুল/কিন্ডারগার্টেনে পার্ট টাইম শিক্ষকতা করে কোন রকমে দিন পার করছে এবং পড়া-শোনা চালিয়ে যাচ্ছে। সে খুবই হার্ড-ওয়ার্কার এবং বাস্তববাদী মনে হল। এখনকার ছেলে-মেয়েদের মত রং-ঢং এড়িয়ে চলে। মনে হয় দৈনন্দিন জীবন চালাতে সংগ্রাম করতে গিয়ে সে জীবনের আসল রুপ দেখে ফেলেছে। তাই বাইরের কৃত্রিম রং তাকে আর সেই ভাবে টানেনা। সে স্বপ্ন দেখে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের।
০৩ এই ফাতেমার সাথে আমার কখনো দেখা হয়নি। ছবিতে দেখেছিলাম এবং ভাল মনে হয়েছিল। তাই তার পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম।
কিন্ত তার পরিবার আমার প্রস্তাবে অনাগ্রহ প্রকাশ করে। মনে হয় আমি বিসিএস/টিচিএস বা সেই মাপের কেউ হলে রাজী হত :P কিন্ত আমিতো বিসিএস না, তবে সেই মাপের প্রফেশনাল কামলা (দিন মজুর)।
০৪ স্বামীর সাথে স্ত্রীর ঝগড়া একটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্ত এই ফাতেমার ঝগড়া সেই রকম। সমস্যা হচ্ছে যে- এই ফাতেমার স্বামী একটু দিল খোলা টাইপের ও সাদা মনের মানুষ। ফলে তার স্বামীর আরো একটা বড় ভাই থাকা সত্ত্বেও তার শ্বশুর-শ্বাশুড়ী, ননদ-দেবর, আত্নীয়-স্বজন সবাইকে তার স্বামী দেখা-শোনা করে।
এটা নিয়ে সে প্রায়ই তার স্বামীর সাথে ঝগড়া করে। সে স্বামীকে প্রেসার দেয় বাড়ীতে না থেকে বাইরে কোথাও বাসা নিতে। কিন্ত তার স্বামী তার কথায় অনড়, সে বাড়ীতেই থাকবে এবং সবাইকে এইভাবেই দেখে-শুনে রাখবে। কিছুদিন আগে শুনি ফাতেমা তার স্বামীর সাথে ঝগড়া করে পিতার বাসায় না এসে তার এক আত্নীয়ের বাড়ীতে চলে যায়। সবাই সারাদিন অনেক খোজা-খুজি করলো। অবশেষে সে রাত্রি ফোন দিয়ে জানালো সেই অমুক জায়গায় আত্নীয়ের বাড়ীতে আছি।
এরকম আরো কিছু আছে। নেক্সট টাইমে ইনশাল্লাহ দেখা যাবে।
