স্পেলিং বি

অফিসে এসেছে এক আঙ্কেল তার বুদ্ধিমান ছেলেকে নিয়ে। চা খেতে খেতে জিজ্ঞেস করলাম ‘বাবু তুমি কি করো’? বাবু উত্তর দাওয়ার আগে বাবুর পিতা উত্তর দিলো, সে The Daily Star Spelling Bee এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তো তাই ইদানিং তার স্কুল একটু ইরেগুলার হচ্ছে। আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘কম্পিটিশন এর কারনে স্কুল ইরেগুলার হওয়ার কি আছে? পড়াশোনার পাশাপাশি কি এই কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করা যেত না’? বাবুর মুখের কোনও কথা নেই... এমন ভাব নিয়ে মটকা মেরে তাকিয়ে আছে যেন মুখ খুল্লেই ভিতর থেকে স্পেলিং এর বিদ্যা হাওয়া হয়ে যাবে।

পিতা উত্তর দিলেন, ‘আরে এই কম্পিটিশন জিতলে সে যাবে আম্রিকা। ওখানে যেয়ে ভালো মত পড়াশোনা না হয় কন্টিনিঊ করবে’।

আমি বিরক্ত হয়ে আবার বললাম, ‘এতো সিরিয়াসলি কেউ যে কোনও কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করে তা আমার জানা ছিল নাহ’

আপনি বলেন কি!!!! সিরিয়াসনেস না থাকলে... মজা-করে দিন পার করলে তো জীবনটাই বৃথা। আপনার কাছে আসতে আসতে ছেলে কে বললাম, ‘চল তোকে এক সিরিয়াস বিদ্বান মানুষের কাছে নিয়ে যাই’

আমি আড়চোখে ছেলের দিকে তাকালাম... ছেলে তখনও মটকা মেরে বসে আছে... মুখে কোনও সাড়াশব্দ নেই!

আমি বললাম শুনেন, ‘সিরিয়াসের মধ্যে মজা খুঁজে নেবেন’। আমি ছেলের দিকে তাকিয়ে বললাম, আচ্ছা বলও তো, ‘গুপ্তহত্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ Assassination... এর বানান কি?

ছেলে চোখ বন্ধ করে বিড়বিড় করতে লাগলো।

আমি ওকে বললাম, “বিড়বিড় বন্ধ করো, শুনো, Assassination এর বানান মনে রাখার সহজ উপায় হল ‘গাধা-গাধা-আমি-জাতি’... কি মজার নাহ”?

বাবুর মুখেক কথা ফুটল... বলল, ‘আঙ্কেল... আঙ্কেল, এরকম আরেকটা বলেন তো’

আমি মুখ গম্ভীর করে বললাম, ‘আজ যাও... পরে একদিন বলব... আজকে আমি সিরিয়াস জরুরী কিছু কাজ আছে’।

বলে, ওদেরদিকে না তাকিয়ে স্ট্যাটাস লেখতে বসলাম।

যত্তসব!

[NB: মূল লেখক Arif R Hossain ভাই। উনার ওয়েবসাইট  http://arifrhossain.com ডাউন। তাই আমি ওয়েব আর্কাইভ থেকে কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যাতে করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও লেখাগুলা পড়তে পারে। Wednesday, 07 November 2012]




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম