ধরুন আপনি কোনো অপরাধ না করার পরও কেউ আপনার বিরুদ্ধে থানা বা আদালতে মামলা দিল। তখন মনে ’ হলো আপনার মাথায় কেউ মুগুর দিয়ে বারি মারছে! আইনি লড়াই চালিয়ে সহজেই এই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পারেন আপনি।
করনীয়ঃ
মিথ্যা মামলা হওয়ার পর ভুক্তভোগীকে প্রথমে জানতে হবে, মামলাটি থানায় নাকি আদালতে হয়েছে।
এরপর মামলার আরজি বা এজাহারের কপি তুলতে হবে।
মামলাটির ধারা বা অভিযোগ জামিনযোগ্য কি না তা উকিলের মাধ্যমে বা নিজে জেনে নিন। অভিযোগ তেমন গুরুতর না হলে ও জামিনযোগ্য হলে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে পারেন.অথবা
অভিযোগ জামিন-অযোগ্য হলে হাইকোর্ট বিভাগে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে আগাম জামিন চাইতেও পারেন।
হাইকোর্ট বিভাগ আগাম জামিন সাধারণত নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত দিয়ে থাকেন। এ মেয়াদের মধ্যেই নিম্ন আদালতে গিয়ে জামিননামা সম্পাদনের জন্য আবেদন করতে হবে। তবে আদালতে বিচার চলাকালে নির্দিষ্ট তারিখে অবশ্যই হাজিরা দিতে হবে। কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া অনুপস্থিত থাকলে আসামির জামিন বাতিল করে দিতে পারেন আদালত।
জামিন চাইবেন কখনঃ
জামিন সাধারণত পুলিশ প্রতিবেদন হওয়ার আগেই চাইতে হয়। পুলিশের তদন্তকারী অফিসার অভিযোগপত্র দাখিল করার আগে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে আপনার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে, তা প্রমাণের চেষ্টা করুন। তদন্তকারী কর্মকর্তা আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগটির সত্যতা না পেলে আপনাকে নির্দোষ দেখিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন বা ফাইনাল রিপোর্ট আদালতে দাখিল করবেন।
অভিযোগপত্র হয়ে গেলে মামলাটি বিচারিক আদালতে বদলি হবে। অভিযোগ গঠনের দিন আসামিকে হাজির হয়ে নতুন করে পূর্বশর্তে জামিন চাইতে হবে এবং জামিননামা সম্পাদন করতে হবে। এই আবেদনে আসামি মামলা থেকে অব্যাহতি চাইতে পারেন। অব্যাহতির আবেদন নাকচ হলে উচ্চ আদালতে প্রতিকার চাইতে পারেন তিনি।
মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হলেঃ
মিথ্যা মামলা হওয়ার পরও ( যেহেতু মিথ্যা এখনো প্রমান হয়নি) পুলিশ এসে আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে আসামি আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করতে পারবেন। যদি পুলিশ রিমান্ড চায়, তাহলে আইনজীবীর উচিত হবে রিমান্ড বাতিলের আবেদন করা।
যদি আদালত জামিন দেন, তাহলে একজন পরিচিত জামিনদারের জিম্মায় আসামিকে জামিননামা সম্পাদন করতে হবে। যদি জামিন না হয়, তাহলে পর্যায়ক্রমে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে হবে।
আদালতে মিথ্যা মামলা হলেঃ
যদি থানায় না হয়ে আদালতে মামলা (সিআর মামলা) হয়, তাহলে আদালত সমন দিতে পারেন কিংবা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রেও আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে হবে। ক্ষেত্রবিশেষে হাইকোর্ট বিভাগে আগাম জামিন চাইতে পারেন।
মনে রাখতে হবে, সিআর মামলায় অভিযুক্ত সব আসামি হাজির হলেই বিচারের জন্য মামলাটি বদলি করা হয়। আসামি কোনো কারণে হাজির না হলে জামিন বাতিল হতে পারে। পর্যায়ক্রমে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি হতে পারে।
হাজির না হলে আসামির মালামাল ক্রোকের আদেশও হতে পারে এবং তার অনুপস্থিতিতেই বিচার হতে পারে।
★★ সাক্ষ্যপ্রমাণে আসামি নির্দোষ প্রমাণিত হলে মিথ্যা অভিযোগকারী বা মামলা দায়েরকারীর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনেই পাল্টা মামলা করা যাবে।
লেখাঃ সৈয়দ আসাদ
করনীয়ঃ
মিথ্যা মামলা হওয়ার পর ভুক্তভোগীকে প্রথমে জানতে হবে, মামলাটি থানায় নাকি আদালতে হয়েছে।
এরপর মামলার আরজি বা এজাহারের কপি তুলতে হবে।
মামলাটির ধারা বা অভিযোগ জামিনযোগ্য কি না তা উকিলের মাধ্যমে বা নিজে জেনে নিন। অভিযোগ তেমন গুরুতর না হলে ও জামিনযোগ্য হলে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে পারেন.অথবা
অভিযোগ জামিন-অযোগ্য হলে হাইকোর্ট বিভাগে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে আগাম জামিন চাইতেও পারেন।
হাইকোর্ট বিভাগ আগাম জামিন সাধারণত নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত দিয়ে থাকেন। এ মেয়াদের মধ্যেই নিম্ন আদালতে গিয়ে জামিননামা সম্পাদনের জন্য আবেদন করতে হবে। তবে আদালতে বিচার চলাকালে নির্দিষ্ট তারিখে অবশ্যই হাজিরা দিতে হবে। কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া অনুপস্থিত থাকলে আসামির জামিন বাতিল করে দিতে পারেন আদালত।
জামিন চাইবেন কখনঃ
জামিন সাধারণত পুলিশ প্রতিবেদন হওয়ার আগেই চাইতে হয়। পুলিশের তদন্তকারী অফিসার অভিযোগপত্র দাখিল করার আগে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে আপনার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে, তা প্রমাণের চেষ্টা করুন। তদন্তকারী কর্মকর্তা আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগটির সত্যতা না পেলে আপনাকে নির্দোষ দেখিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন বা ফাইনাল রিপোর্ট আদালতে দাখিল করবেন।
অভিযোগপত্র হয়ে গেলে মামলাটি বিচারিক আদালতে বদলি হবে। অভিযোগ গঠনের দিন আসামিকে হাজির হয়ে নতুন করে পূর্বশর্তে জামিন চাইতে হবে এবং জামিননামা সম্পাদন করতে হবে। এই আবেদনে আসামি মামলা থেকে অব্যাহতি চাইতে পারেন। অব্যাহতির আবেদন নাকচ হলে উচ্চ আদালতে প্রতিকার চাইতে পারেন তিনি।
মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হলেঃ
মিথ্যা মামলা হওয়ার পরও ( যেহেতু মিথ্যা এখনো প্রমান হয়নি) পুলিশ এসে আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে আসামি আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করতে পারবেন। যদি পুলিশ রিমান্ড চায়, তাহলে আইনজীবীর উচিত হবে রিমান্ড বাতিলের আবেদন করা।
যদি আদালত জামিন দেন, তাহলে একজন পরিচিত জামিনদারের জিম্মায় আসামিকে জামিননামা সম্পাদন করতে হবে। যদি জামিন না হয়, তাহলে পর্যায়ক্রমে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে হবে।
আদালতে মিথ্যা মামলা হলেঃ
যদি থানায় না হয়ে আদালতে মামলা (সিআর মামলা) হয়, তাহলে আদালত সমন দিতে পারেন কিংবা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রেও আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে হবে। ক্ষেত্রবিশেষে হাইকোর্ট বিভাগে আগাম জামিন চাইতে পারেন।
মনে রাখতে হবে, সিআর মামলায় অভিযুক্ত সব আসামি হাজির হলেই বিচারের জন্য মামলাটি বদলি করা হয়। আসামি কোনো কারণে হাজির না হলে জামিন বাতিল হতে পারে। পর্যায়ক্রমে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি হতে পারে।
হাজির না হলে আসামির মালামাল ক্রোকের আদেশও হতে পারে এবং তার অনুপস্থিতিতেই বিচার হতে পারে।
★★ সাক্ষ্যপ্রমাণে আসামি নির্দোষ প্রমাণিত হলে মিথ্যা অভিযোগকারী বা মামলা দায়েরকারীর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনেই পাল্টা মামলা করা যাবে।
লেখাঃ সৈয়দ আসাদ
